পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ এবং বিভিন্ন জেলা

(১)পশ্চিমবঙ্গ ভারতের কোন্ দিকে অবস্থিত ?
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গ ভারতের পূর্বদিকে অবস্থিত একটি অঙ্গরাজ্য।
(২) পশ্চিমবঙ্গের আয়তন কত?
উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের আয়তন ৮৮ হাজার ৭৫২বর্গ কিলোমিটার।
(৩)ভারতের আয়তন কত?
উত্তর-ভারতের আয়তন ৩২ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গ কিমি
(৪)ভারতে কয়টি অঙ্গরাজ্য কয়টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আছে?
উত্তর-ভারতে ২৮ টি অঙ্গরাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আছে।
(*৫) পশ্চিমবঙ্গের অক্ষাংশ কত দ্রাঘিমা কত বিস্তার লিখ।
উত্তর -পশ্চিমবঙ্গ ২১°৩৮’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৭°১০’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৫°৫০’ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে৮৯°৫৩’ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
(৬) পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ জেলার উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে ?
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান ও নদীয়া জেলার উপর দিয়ে
কর্কটক্রান্তিরেখাটি ( ২৩°৩০’ উঃ) পার হয়েছে।
(৬)তেলেঙ্গনা ভারতের নবীনতম রাজ্যের নাম কি?
ভারতের নবীনতম অঙ্গরাজ্যের নাম তেলেঙ্গানা
(৭) পশ্চিমবঙ্গে কয়টি জেলা আছে?
উত্তর -পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলা আছে।
(৮) পশ্চিমবঙ্গে কয়টি প্রশাসনিক বিভাগ ও কয়টি জেলা আছে ?
উত্তর- পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি প্রশাসনিক বিভাগ আছে।
(i) জলপাইগুড়ি বিভাগ-দার্জিলিং ,কালিম্পং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার , কোচবিহার ।
(ii) মালদহ বিভাগ-উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ,মালদহ,মুর্শিদাবাদ ।
(iii) বর্ধমান বিভাগ-বীরভূম ,পশ্চিম বর্ধমান,পূর্ব বর্ধমান,হুগলি ।
(iv) প্রেসিডেন্সী বিভাগ-নদিয়া , হাওড়া, কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা ।
(v)মেদিনীপুর বিভাগ-পুরুলিয়া , বাঁকুড়া ,পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম , পূর্ব মেদিনীপুর ।
(৯) পশ্চিমবঙ্গের চতুঃসীমা লিখ ।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সিকিম, ভূটান; দক্ষিণে উড়িষ্যা,বঙ্গোপসাগর; পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, ত্রিপুরা;পশ্চিমে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অবস্থিত ।
১০)পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাম ,আয়তন ও সদর দপ্তর লিখ
সিরিয়াল | জেলার নাম | আয়তন(বর্গ কিমি) | সদর দপ্তর |
১ | দার্জিলিং | ৩১৪৯ | দার্জিলিং |
২ | কালিম্পং | ১০৪৪ | কালিম্পং |
৩ | জলপাইগুড়ি | ৬২২৭ | জলপাইগুড়ি |
৪ | আলিপুর দুয়ার | ৩৩৮৩ | আলিপুর দুয়ার |
৫ | কোচবিহার | ৩৩৮৭ | কোচবিহার |
৬ | উত্তর দিনাজপুর | ৩১৩৯ | রায়গঞ্জ |
৭ | দক্ষিণ দিনাজপুর | ২২১৯ | বালুরঘাট |
৮ | মালদহ | ৩৭৩৩ | ইংলিশ বাজার |
৯ | মুর্শিদাবাদ | ৫৩২৪ | বহরমপুর |
১০ | বীরভূম | ৪৫৪৫ | সিউড়ি |
১১ | পশ্চিম বর্ধমান | ১৬০৩ | আসানসোল |
১২ | পূর্ব বর্ধমান | ৫৪২১ | বর্ধমান |
১৩ | পুরুলিয়া | ৬২৫৯ | পুরুলিয়া |
১৪ | বাঁকুড়া | ৬৮৮২ | বাঁকুড়া |
১৫ | ঝাড়গ্রাম | ৩০৩৭ | ঝাড়গ্রাম |
১৬ | পশ্চিম মেদিনীপুর | ৯২৯৬ | পশ্চিম মেদিনীপুর |
১৭ | পূর্ব মেদিনীপুর | ৪৭৮৫ | তমলুক |
১৮ | দক্ষিণ ২৪ পরগনা (সবচেয়ে বড়) | ৯৯৬০ | আলিপুর |
১৯ | উত্তর ২৪ পরগনা | ৪০৯৪ | বারাসত |
২০ | কলকাতা(সবচেয়ে ছোটো) | ১৮৫ | কলকাতা |
২১ | হাওড়া | ১৪৬৭ | হাওড়া |
২২ | হুগলি | ৩১৪৯ | হুগলি |
২৩ | নদীয়া | ৩৯২৭ | কৃষ্ণনগর |
উত্তর –পশ্চিমবঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্তর ৩২৫ কিলোমিটার
(১২)পশ্চিমবঙ্গের কোন্ অঞ্চলকে চিকেন নেক্ বলে ?
উত্তর-উত্তর দিনাজপুরে চিকেন নেক্ অঞ্চল অবস্থিত ।.
(১৩)পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম জেলার নাম কি?
পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম জেলা দক্ষিণ 24 পরগনা ক্ষুদ্রতম জেলা কলকাতা
(১৪)আয়তনে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের কততম অঙ্গরাজ্য ?
উত্তর -১৪ তম অঙ্গরাজ্য( চতুর্দশতম)
•
(.১৫)রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব: লিখ ।
রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব:
(১)ভারতের মোট আয়তনের শতকরা 2.7 ভাগ পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত। জনসংখ্যার দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে চতুর্থ। ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় 7.5 ভাগ এখানে বাস করে(২০১১ আদম শুমারি অনুযায়ী অনুসারে)
(২)জনঘনত্বের বিচারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয় অর্থাৎ বিহারের পর। পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে ১০২৯ জন । (বিহারের জনঘনত্ব ১১০২ জন প্রতি বর্গকিমিতে) ।
(৩)পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। ব্রিটিশ শাসনে ভারতের রাজধানী কলকাতা ছিল । শিক্ষা সংস্কৃতিতে কলকাতা খুব উন্নত ।
(৪) পশ্চিমবঙ্গ সমভূমি থাকায় কৃষিকার্যে উন্নত ।
(৫) পশ্চিমবঙ্গে অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে। যেমন- সুন্দরবন, দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ইত্যাদি ।
(৬) উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য পশ্চিমবঙ্গের উপনির্ভরশীল। তাই একে উত্তর -পূর্ব ভারতের প্রাণকেন্দ্র বলে।
(২৪)পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশগুলির নাম ও বিবরণ
নেপাল(Nepal)
(১)নেপাল ভারতের উত্তরে অবস্থিত একটি অন্যতম প্রতিবেশী দেশ। এটি সম্পূর্ণ স্থল বেষ্টিত পর্বতময় দেশ
(২)নেপালের অক্ষাংশগত বিস্তার হলো ২৬° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৩০° ৩০’ উত্তর অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাগত বিস্তার ৮০° পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৮° পূর্ব দ্রাঘিমা।
(৩)নেপালের মোট আয়তন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৮১ বর্গ কিলোমিটার
(৪)নেপালের উত্তরে আছে চীন, দক্ষিণে বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমে উত্তরাঞ্চল, পূর্ব দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম
( ৫)নেপালে আছে অসংখ্য পর্বত শৃঙ্গ। পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট নেপালে অবস্থান করে আছে।
(৬)নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। কাঠমান্ডুতে সার্কের হেড অফিস আছে। কাঠমান্ডু ছাড়া নেপালের অন্যান্য শহরগুলি হল -পোখরা, কপিলাবস্তু, জনকপুর, বিরাটনগর।-
(৭)নেপালে বিখ্যাত ত্রিভুবন সড়ক পথ অবস্থিত।
(৮)নেপালের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির।
(৯)নেপালের দীর্ঘতম নদী হল কালিগন্ডক। সেতি পবিত্র নদী
(১০)নেপালের পশুপতিনাথ মন্দির বিশ্ব বিখ্যাত।
(১১)পোখরা ও কাঠমান্ডু উপত্যকা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে
(১২)নেপালের প্রধান শস্য হল ধান (১৩)নেপাল পর্যটনশিল্পে খুব উন্নত
(১৪)নেপালে শেরপা, গুরু, গোর্খা ও ভুটিয়া জাতি বাস করে।
(১৫)এখানকার ৯০ প্রতিশত হলো হিন্দু
(১৬)*নেপালের লোক সংখ্যা তিন কোটি।
ভুটান (Bhutan)
(১)ভারতের উত্তর-পূর্ব হিমালয়ের কোলে ভুটান দেশ অবস্থিত
(২)দেশটি ২৬°৪৫’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৮°৩০’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮° পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২° পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত
(৩)ভুটানের আয়তন ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার।
(৪)ভুটানের উত্তরে চীনের তিব্বতের অংশ,দক্ষিণে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ এবং পশ্চিমে সিকিম
অবস্থিত।
(৪)ভুটান একটি পর্বতময় দেশ
(৫)ভুটানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুলাকাঙ্গড়ি(প্রায় ৭৫৫৪ মি)। চোমোলোহরি দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ
(৬)এখান থেকে সিকিমে যাওয়ার জন্য নাথুলা, জেলেপ -লা গিরিপথ ব্যবহার করা হয়।
(৯)মানস ভুটানের দীর্ঘতম নদী। অন্যান্য নদীগুলো হল তোর্সা, জলঢাকা,রায়ডাক,ওয়াংছু। ’ছু’ শব্দের অর্থ নদী।
(১০)ভুটানে আদ্র নাতিশীতোষ্ণ মৌসুমী জলবায়ু দেখা যায়।
(১১)বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টিপাতের জন্য ভুটানকে বজ্রপাতের দেশ(land of thunder Dragon) বলে।
(১৩)ভুটানে প্রচুর বনভূমি আছে। পাইন,ফার সিডার, ওক, ম্যাপল, রডোডেনড্রন প্রধান গাছ।
(১৪)ভুটানের জমি চাষবাসের অনুপযুক্ত। বন্ধুর ভূ-প্রকৃতি অনুর্বর মৃত্তিকা গভীর বনভূমি থাকার জন্য এখানে চাষবাস ভালো হয় না। ধান, গম, ভুট্টা, বড় এলাচ এখানকার প্রধান ফসল।
১৫)ভুটানের খনিজ সম্পদের অভাব আছে। তবে কোনো কোনো জায়গায় ডলোমাইট, জিপসাম, গ্রাফাইট পাওয়া যায়।
(১৬)ভুটান পর্যটন শিল্পে উন্নত।
(১৭)পর্বত শংকুল ভূ- প্রকৃতির জন্য ভুটানের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত নয়।
(১৮)ভুটানের রাজধানী থিম্পু। পারো, পুনাখা,ফুন্টসেলিং প্রধান শহর।
(১৯)অধিকাংশ লোক ভুটানি। এরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। জোঙথা এখানকার সরকারী ও প্রধান ভাষা।
(২০)ভুটানের লোক সংখ্যা ৭৯২৩৮২ জন
(২১)ভারতের সঙ্গে ভুটানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতায় ওয়াংছু ও তিছু নদীর মিলন স্থলে চুখা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হয়েছে।
(২২)ভুটান ভারত থেকে আমদানি করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইস্পাত, কয়লা, যানবাহন, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ কাগজ, বস্ত্র, চিনি ইত্যাদি। ভুটান ভারতে রপ্তানি করে বড় এলাচ, মৃগনাভি, কমলালেবু, জেলি, জ্যাম, আচার, মদ, মোম ইত্যাদি।
বাংলাদেশ (Bangladesh)
(১)১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান আবার দুটি অংশে বিভক্ত ছিল যথা- পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বর মাসে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় যার নাম বাংলাদেশ।
(২)ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পূর্বে বাংলাদেশ অবস্থিত। এই দেশটি তিন দিকে ভারতের স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত।
(৩)বাংলাদেশ ২১° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬° ৩০’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮° ৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২° ৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত ।
(৪)বাংলাদেশের উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও মেঘালয় ;পূর্বে অসম, ত্রিপুরা মিজোরাম ও মায়ানমার;পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত ।
(৫)বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৯৩ র্বর্গ কিলোমিটার ।
(৬)বাংলাদেশে পার্বত্য অঞ্চল ও সমভূমি অঞ্চল দেখা যায়
(৭)সীতাকুণ্ড পাহাড়ের কেওক্রাডাং (১২৩০মি)বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।
(৮)বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। পদ্মা ,মেঘনা , যমুনা প্রভৃতি বাংলাদেশের প্রধান নদী। গঙ্গার প্রধান শাখা নদী পদ্মা নামে বাংলাদেশে প্রবেশ করে যমুনা ও মেঘনার সঙ্গে মিশে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। ভারতের ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশের যমুনা নামে প্রবাহিত। বাংলাদেশের অন্যান্য নদীগুলো হল কর্ণফুলী, মহানন্দা , কপোতাক্ষ , মধুমতি , বুড়ি গঙ্গা ইত্যাদি ।
(৯)বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দ্বারা এখানে বৃষ্টিপাত হয়। চৈত্র -বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় দেখা যায় ।
(১০)বাংলাদেশের চিরহরিৎ,পর্ণমোচী ও ম্যানগ্রোভ বনভূমি লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্র বাঁশ ও বেত গাছ জন্মায়। বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবন অবস্থিত। সুন্দরবনে সুন্দরী , গরান, গেঁওয়া, হেতাল প্রভৃতি গাছ জন্মে ।
(১১)বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। ধান, পাট, চা, তুলা, তামাক, পান ইত্যাদি প্রধান ফসল। ময়মনসিংহ বাখরগঞ্জ জেলায় প্রচুর ধান উৎপন্ন হয়। এদের বাংলাদেশের ধান ভান্ডার বলে। পাটকে এই দেশে স্বর্ণ তন্তু বলে। বাংলাদেশের ইলিশ মাছ পৃথিবীর বিখ্যাত।
(১২)নারায়ণগঞ্জকে প্রাচ্যের ডান্ডি বলে।
(১২)বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।খুলনা, যশোর, বরিশাল,রাজশাহী কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম অন্যান্য শহর ।
(১৩)বাংলাদেশ কুটির শিল্পে উন্নত ।
(১৪)বাংলাদেশের ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে।
(১৫)বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক বাঙালি। বেশিরভাগ লোক মুসলিম সম্প্রদায়ের।
(১৬)বাংলাদেশের সরকারি ভাষা বাংলা
(১৭) বাংলাদেশের জনঘনত্ব পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
(১৮)বাংলাদেশের লোক সংখ্যা সাড়ে ১৭ কোটি ।
(১৯)বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করে কয়লা ,ইস্পাত , যন্ত্রপাতি ,ওষুধ নুন,পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি
(২০)বাংলাদেশ ভারতকে রপ্তানি করে পাট মাছ, কাগজ, সুপারি, শাড়ি ইত্যাদি।


