Practical Geography/XI /Sem-2

Practical Geography/XI /Sem-2

(১)মানচিত্র কাকে বলে? 

   ইংরেজি’ Map’ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন Mappa যার অর্থ কাপড় ,(cloth).

প্রাচীনকালে কাপড়ে মানচিত্র অংকন করা হতো। সাধারণভাবে মানচিত্র হল

মান+ চিত্র অর্থাৎ মান অনুসারে অঙ্কিত চিত্র। নির্দিষ্ট মাপ অনুসারে সমগ্র

পৃথিবী বা তার অংশবিশেষের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যগুলি যে সমতল ক্ষেত্রের

উপর চিত্রিত বা উপস্থাপিত করা থাকে তাকে মানচিত্র বলে।  

 (২) মানচিত্রের উপকরণ কি কি?

 উত্তর.A)শিরোনাম -B) স্কেল- (C) মানচিত্র অভিক্ষেপ 

(D) সাংকেতিক চিহ্ন ও রং– ( E) সূচক বা নির্দেশক:- ………………..

  (৩)মানচিত্রের গুরুত্ব লিখ । 

উত্তর-(i) কোন এলাকার সঠিক ভৌগলিক অবস্থান ও সীমা নির্ধারণ

এবং সীমানা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার জন্য মানচিত্র প্রয়োজন  ।

(ii)প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বন্টন ও উপস্থাপনায় মানচিত্র ব্যবহার করা হয়

(iii) প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে সৈন্যরা মানচিত্র ব্যবহার করেন ।

(iv) কোন অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনার জন্য মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় 

(v) নাবিক ও বিমান চালকগণ তাদের সঠিক অবস্থান জানার জন্য ।

vi) প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিস্তার জানা এবং তার মোকাবিলা প্রয়োজনে

,(vii)পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের সঠিক পথের নির্দেশের জন্য ।

(viii)আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য আবহাওয়া মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় ।

(ix) স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠন ও গবেষণার কাজে মানচিত্র ব্যবহার করা হয় ।

(৪) NATMO কি?

 উত্তর.National Atlas and Thematic Mapping Organisation

..

(৫)মানচিত্রের জনক কাকে বলে?.উঃআ্যনাক্সিম্যান্ডার

ব্যবহারিক ভূগোল/একাদশ শ্রেণি/সেমিস্টার -২

………………………………………………………………………………………………………………..

(৬) থিমেটিক মানচিত্র কাকে বলে ? 

উত্তর-নির্দিষ্ট  কোনো  থিম বা বিষয়ের ভিত্তিতে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়।

যেমন- জনঘনত্ব, শস্য প্রগাঢ়তা জলবায়ু সংক্রান্ত ইত্যাদি 

(৭)কোন কোন সংস্থা মানচিত্র প্রস্তুত করে? ।  

উত্তর-NATMO, SOI

(৮)উদ্দেশ্য অনুসারে মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ কর। 

 উত্তর-(1)প্রাকৃতিক মানচিত্র (2) সাংস্কৃতিক মানচিত্র

(3) থিমেটিক মানচিত্র(4) সাধারন বা সংকল্প সূচক মানচিত্র

 ।(৯) মানচিত্রে রঙের ব্যবহার উল্লেখ করো

            বিষয়রং এর নাম            বিষয়রং এর নাম
নদ নদী ও  জলাশয়নীল রংবনভূমি, কৃষি ক্ষেত্রগাঢ় সবুজ
সমভূমিসবুজ রংসাগর,মহাসাগরগাঢ় নীল
মরূভূমিহলুদ রংসমোন্নতি রেখাবাদামি
পাহাড়,পর্বত, শৃঙ্গ বাদামিখনি অঞ্চলকালো

     (১০) ফাঁকা জায়গাগুলি পূরণ কর       

মানচিত্রের ধরণ          R.Fউদাহরণ
ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র1:1000000 -1:250000) অ্যটলাস,দেওয়াল মানচিত্র
মাঝারি স্কেলের মানচিত্র1:50000 -1:1000000)যেমন –  টপোশিট
বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র(1:50000 এর কমমৌজা মানচিত্র, দেওয়াল চিত্র

।ব্যবহারিক ভূগোল/একাদশ শ্রেণি/সেমিস্টার -২

—————————————————————————————————–      

(১১) দুটি প্রাকৃতিক মানচিত্রের উদাহরণ দাও ।

উত্তর– ভূতাত্ত্বিক ,ভূ প্রাকৃতিক, আবহাওয়া, জলবায়ু, স্বাভাবিক উদ্ভিদ ,

নদ নদী, মৃত্তিকা, জলসম্পদ ইত্যাদি

(১২) দুটি সাংস্কৃতিক মানচিত্রের উদাহরণ দাও ।

উত্তর-রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, জনসংখ্যা, জাতিগত, ভাষা মানচিত্র,

সামাজিক, ঐতিহাসিক, পরিবহন, ভূমি ব্যবহার ইত্যাদি

(১৩) ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর-জমি জমা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ ব্যবহৃত হয়

১৪) মৌজা মানচিত্রের স্কেল কত?

উত্তর- 16 ইঞ্চিতে 1 মাইল

 (১৫) বিষয়ানুগ মানচিত্র কাকে বলে? 

উত্তর-নির্দিষ্ট  কোনো  থিম বা বিষয়ের ভিত্তিতে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়।

যেমন- জনঘনত্ব, শস্য প্রগাঢ়তা জলবায়ু সংক্রান্ত ইত্যাদি

(১৬) টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর-টপোগ্রাফিক্যাল(Topographical Map):– এই মানচিত্রে  কোনো

অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও সামাজিক বৈশিষ্ট্য গুলিকে উপযুক্ত চিহ্ন ও রঙের

সাহায্যে উপস্থাপন করা হয়। ভারতীয় জরিপ বিভাগ (সার্ভে অফ ইন্ডিয়া

মানচিত্র প্রকাশ করে ।এর সদর দপ্তর দেরাদুনে অবস্থিত

(১৭) ভারতের কোন্‌ সংস্থা টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রকাশ করে?

উত্তর…Survey of India টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র প্রকাশ করে

(১৮) SOI এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?

উত্তর- Survey of India সদর দপ্তর দেরাদুনে অবস্থিত

        ব্যবহারিক ভূগোল/একাদশ শ্রেণি/সেমিস্টার -২        

—————————————————————————————————– 

(১০)ভারতের একটি মানচিত্র অংকন কর।

 (১১) মানচিত্র সম্পর্কীয় বিজ্ঞানকে Cartography. বলে।

 (১২ )গেরার দাস মার্কেটর সর্বপ্রথম Atlas পুস্তক তৈরি করেন ।

 (১৩)পৃথিবীর মানচিত্র প্রথম অংকন করেন  টলেমি /আ্যনাক্সিম্যান্ডার

(১৪) Map কথাটি ল্যাটিন শব্দ Mappa থেকে এসেছে যার অর্থ এক খন্ড কাপড়

 (১৫)Globe পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ ।

 (১৬)জমি জমা সংক্রান্ত গ্রামাঞ্চলের মানচিত্রকে মৌজা বলে । 

 (১৭) যে মানচিত্র দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয় তাকে  দেওয়াল মানচিত্র বলে ।

      

   ———————————————————————————————–   

(১)স্কেল কাকে বলে? 

 উত্তর-মানচিত্রে কোন দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে ওই স্থান দুটির মধ্যে

প্রকৃত দূরত্বের অনুপাতকে স্কেল বা মানচিত্র স্কেল বলে  । সংক্ষেপে বলা

যায় মানচিত্র, লেখচিত্র বা প্ল্যানে প্রদর্শিত দূরত্বের সঙ্গে প্রকৃত দূরত্বের

অনুপাতই হল স্কেল  (Scale  is the ratio  between ground distance

and map distance)

 ( ২)  স্কেলের শ্রেণিবিভাগ কর। 

  উত্তর  -স্কেল স্কেলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ(১) বিবৃতিমূলক স্কেল

(২) ভগ্নাংশসূচক স্কেল লৈখিক স্কেল । লৈখিক স্কেল আবার তিন প্রকার  যথাঃ

(১) রৈখিক স্কেল(২)  ভারনিয়ার স্কেল (৩) ডায়াগোনাল স্কেল    ।    

রৈখিক স্কেল   আবার দুই প্রকার    যথাঃ(১) সরল স্কেল (২)তুলনামূলক স্কেল                                                                              

(৩)R.F কথার অর্থ  Representative Fraction

 (১৫)স্কেল কিভাবে প্রকাশ করা হয় ?

     উত্তর-স্কেল স্কেলকে তিন ভাবে প্রকাশ করা হয়। যথাঃ

      (১) বিবৃতির মাধ্যমে

      (২) অংকনের মাধ্যমে

      (৩) ভগ্নাংশসূচকের মাধ্যমে

  ( ১৬) ছঁক পূরণ করঃ

স্কেলের নাম              সুবিধা              অসুবিধা


বিবৃতি স্কেল 
(1)এটি সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি 
(2)পাঠ করার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয় না।
(1)একক পরিবর্তনের জটিলতা আছে
(2)সব ভাষাভাষীর লোক পাঠ করতে পারেনা


রৈখিক  স্কেল 

(1) চিত্র দেখে সহজে বোঝা যায় 
(2) জাতীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার বেশি
(1) অংকন  করা সহজ নয়
(2)মুখ্য ভাগ ও গৌণ ভাগের অংক করতে হয়

ভগ্নাংশ সূচক স্কেল 

(1) একই ইউনিটে প্রকাশযোগ্য 
(2) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়
(1), সাধারণ লোকের কাছে বোধগম্য নয় 
(2)অংক কষা জটিল

  (১৭) মৌজা মানচিত্রের স্কেল-   ১৬ ইঞ্চিতে এক মাইল

————————.

(১৭) নিম্নলিখিত বিবৃতিমূলক স্কেল থেকে R.F নির্ণয় কর।

   (ক) ১ সেমি = ২ কিমি   

প্রশ্নানুসারে,

     ১ সেমি= ২ কিমি

বা, ১ সেমি= ২x ১০০০০০ = ২০০০০০ সেমি (কিমিকে সেমি করতে গেলে ১০০০০০ দিয়ে           

                                                                                   গুন করতে হয়)

বা, ১ সেমি= ২০০০০০ সেমি              অতএব, R.F= ১ঃ২০০০০০


 (খ) ২ সেমি = ২০ কিমি 

প্রশ্নানুসারে,

     ২ সেমি= ২০ কিমি

                   ২০ কিমি

বা, ১ সেমি= ——-      = ১০ কিমি         

                    ২

বা, ১ সেমি= ১০x ১০০০০০ = ১০০০০০০ সেমি (কিমিকে সেমি করতে হলে ১০০০০০ দিয়ে           

                                                                    গুন করতে হয় । ১ কিমি =১০০০০০ সেমি)

 বা, ১ সেমি= ১০০০০০০ সেমি                  অতএব, R.F= ১ঃ১০০০০০০


(গ) ১ ইঞ্চি = ৫ মাইল

প্রশ্নানুসারে,

     ১ ইঞ্চি=৫ মাইল

বা, ১ ইঞ্চি= ৫x ৬৩৩৬০ ইঞ্চি      (মাইলকে ইঞ্চি করতে হলে ৬৩৩৬০  দিয়ে           

                                                       গুন করতে হয়।কারণ ১ মাইল = ৬৩৬৬০ ইঞ্চি)

 বা, ১ ইঞ্চি=৩১৬৮০০ ইঞ্চি              অতএব, R.F= ১ঃ৩১৬৮০০


   গ) ১ ইঞ্চি = ৩ মাইল

প্রশ্নানুসারে,

     ১ ইঞ্চি=৩মাইল

বা, ১ ইঞ্চি= ৩x ৬৩৩৬০ ইঞ্চি  (মাইলকে ইঞ্চি করতে হলে ৬৩৩৬০  দিয়ে           

                                                    গুন করতে হয়।কারণ ১ মাইল = ৬৩৬৬০ ইঞ্চি)

 বা, ১ ইঞ্চি=১৯০০৮০  ইঞ্চি              অতএব, R.F= ১ঃ৩১৬৮০০


             

  (১০) নিম্নলিখিত R.F থেকে   বিবৃতিমূলক স্কেল নির্ণয় কর।

                                                                                                                                                           

                                                             MD–(Map distance between two points)

(১১) স্কেলের সূত্র হলো -Scale( স্কেল)=    ————————————————–

                                                                       GD–(Ground distance between two points)

 (১২) কলকাতা ও পুরুলিয়ার দূরত্ব 300 কিমি  । পশ্চিমবঙ্গের  মানচিত্রে তা 10 সেমিতে 

  দেখানো হয়েছে  । সুতরাং ওই মানচিত্রের স্কেল  কত হবে  ?

                                                        সমাধান –

                                                          MD–                  10 সেমি           1  সেমি

 স্কেলের সূত্র হলো -Scale( স্কেল)=  ————–=————    =   ———-

                                                                    GD                   300  সেমি        30 কিমি

সুতরাং ওই মানচিত্রের স্কেল  হবে   1 সেমি = 30  কিমি

                                                                      মানচিত্রের দূরত্ব(MD)

 (১৩) ভগ্নাংশ সূচক স্কেল বা  R.F হল        =  ————————–

                                                                 ভূমিভাগে দূরত্ব (GD)

  (১৪) তুলনামূলক রৈখিক স্কেল(comparative Linear Scale) কাকে বলে?

উত্তর -C.G.S পদ্ধতি এবং F.P.Sপদ্ধতি দুটি এককের মধ্যে তুলনা করে একটি সরল রেখার উপর উভয়দিকে যে রৈখিক স্কেল অংকন করা হয় তাকে তুলনামূলক স্কেল বলে ।

  (১৫) ডায়াগোনাল স্কেল  (Diagonal Scale) কাকে বলে?

উত্তর- যে স্কেলে একইসঙ্গে মুখ্য, গৌণ ,প্রগৌণ ও প্রয়োজন  এই তিন  প্রকার ভাগের সহযোগে পরিমাপ নেওয়া যায় তাকে ডায়াগোনাল স্কেল বলে  ।              

                                        (১৬)ভার্নিয়ার স্কেল(Vernier Scale) কী ?

উত্তর-মুখ্য স্কেলের একটি ক্ষুদ্রতম ভাগের থেকেও আরো ক্ষুদ্রতর ভাগকে অর্থাৎ ভগ্নাংশমানকে  সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করতে হলে মূল স্কেলের সঙ্গে সরণযোগ্য যে স্বতন্ত্র স্কেল থাকে তাকে ভার্নিয়ার স্কেল বলে।

 (১৭)  রৈখিক স্কেলের কয়টি ভাগ ও কি কি ?

উত্তর-রৈখিক স্কেলের দুটি ভাগ যথাঃ (১)মুখ্য ভাগ (২) গৌণ ভাগ

                                      ভূমির দূরত্ব                                                  ভূমির দূরত্ব

(১৮) মূখ্য ভাগের মান=———————- (১৯)মূখ্য ভাগের সংখা=———————–

                                 মুখ্য ভাগের সংখ্যা                                        মুখ্যভাগের মান

                                  মুখ্য ভাগের মান                                        মুখ্য ভাগের মান

(২০) গৌণ ভাগের মান= ——————————( ২১) গৌণ ভাগের সংখা=————————

                                   গৌণ ভাগের সংখ্যা                                 গৌণ ভাগের মান

(

  

Leave a Comment