বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস প্রশ্নের সমাধান দশম শ্রেণি মাধ্যমিক wbbse part 1

বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস Layer of Atmosphere

  • আবহাওয়া (Weather)-কাকে বলে ?
  • জলবায়ু(Climate)- কাকে বলে ?
  • বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)কাকে বলে ?
  • আবহবিদ্যা ও এরোনমিবিদ্যা কাকে বলে ?
  • বায়ুমন্ডলের উপাদান (Elements) কি কি ?
  • বায়ুমন্ডলের  বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব লিখ । 
  • রাসায়নিক গঠন বা উপাদান অনুসারে স্তরবিন্যাস কর ।
  • উষ্ণতা অনুসারে বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস কর:
  • বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব (Density): কাকে বলে ?
  • বায়ুর বৈশিষ্ট্য লিখ ।
Layer of Atmosphere
বায়ুমন্ডলের স্তর

১)আবহাওয়া (Weather)-কাকে বলে ?

উত্তর-নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুর চাপ , বায়ুর আদ্রতা , বায়ু প্রবাহের গতি , বায়ুপ্রবাহের দিক , বৃষ্টিপাত , মেঘাচ্ছন্নতা, ইত্যাদির গড় অবস্থাকে ওই স্থানের আবহাওয়া বলে । আবহাওয়া পরিবর্তনশীল । আবহাওয়া যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে ।

২)জলবায়ু(Climate)- কাকে বলে ?

উত্তর-কোনো বিস্তৃত অঞ্চলের ৩০ থেকে ৩৫ বছরে আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে ওই স্থানের জলবায়ু বলে। পৃথিবীতে ১৪ রকমের জলবায়ু দেখতে পাওয়া যায়। যেমন -নিরক্ষীয় জলবায়ু ,মৌসুমী জলবায়ু, তুন্দ্রা জলবায়ু ইত্যাদি।

৩) বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)কাকে বলে ?

উত্তর-ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ১০,০০০ কি.মি. পর্যন্ত যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমন্ডল বলে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য বায়ুমন্ডল পৃথিবীকে চাদরের মত জড়িয়ে অনবরত আবর্তন করছে। বায়ুমন্ডল পৃথিবীর সর্বশেষ সীমানা। এরপর মহাশূন্য বিরাজ করছে।

৪) আবহবিদ্যা ও এরোনমিবিদ্যা কাকে বলে ?

উত্তর-ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে ১০০ কি.মি. পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে যে বিদ্যার প্রয়োজন, তাকে আবহবিদ্যা বলে। ১০০ কিলোমিটারের উপরে বায়ুমন্ডল সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে এরোনমি বিদ্যা (Aeronomy) জানতে হয়।

৩)• বায়ুমন্ডলের উপাদান (Elements) কি কি ?

উত্তর-বায়ুমণ্ডলে তিন প্রকার উপাদান আছে।যথা-

  • (ক) গ্যাসীয় উপাদান
  • (খ) জলীয় বাষ্প
  • (গ) ধুলিকণা ও বিভিন্ন কণিকা। 

(ক) গ্যাসীয় উপাদান: বায়ুমন্ডলের প্রধান উপাদান হল বিভিন্ন প্রকার গ্যাস। গ্যাসগুলির মধ্যে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাইঅক্সাইড, প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আছে কতকগুলি নিষ্ক্রিয় গ্যাস। যথা নিওন, আর্গন, মিথেন, জেনন,রেডন,ক্রিপ্টন ইত্যাদি।

গ্যাসের নামশতকরা পরিমান
নাইট্রোজেন ৭৮.০৮৪%
অক্সিজেন           ২০.৯৪৬%
কার্বন-ডাইঅক্সাইড০.০৩৩%
অন্যান্য গ্যাস০.৯৩৭%
মোট১০০%

খ) জলীয় বাষ্প: জলীয়বাষ্প বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জলীয়বাষ্প হল জলের গ্যাসীয় অবস্থা। সাগর-মহাসাগর, নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় প্রভৃতির জল সূর্যের উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে মিশে যায় এবং আকাশে ভেসে বেড়ায়। তবে অঞ্চলভেদে ও ঋতু অনুসারে জলীয় বাষ্পের পরিমাণের পার্থক্য দেখা যায়।

(গ) ধূলিকণা ও অন্যান্য কণিকা বা অ্যারোসল: অ্যারোসলের অপর নাম বায়ুস্থিত ভাসমান ধূলিকণা। বায়ুর ক্ষয়কার্য তথা আগ্নেয়গিরি থেকে উৎক্ষিপ্ত ভস্ম, ছাই, উল্কার ধ্বংসাবশেষ, কয়লার গুঁড়ো ইত্যাদির দ্বারা অ্যারোসলের (Aerosol) সৃষ্টি হয়। • 

(৪) বায়ুমন্ডলের  বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব লিখ । 

উত্তর(ক) নাইট্রোজেনের প্রভাব

এই গ্যাস সরাসরি জীব গ্রহণ করতে পারে না, তথাপি এই গ্যাস নানাভাবে জীবজগতের উপকার সাধন করে। জীনের প্রোটিন জাতীয় খাদ্য প্রস্তুতিতে নাইট্রোজেন সাহায্য করে। নানারকম ব্যাকটেরিয়া, মটরশুঁটি ও ছোলা জাতীয় উদ্ভিদ নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে মৃত্তিকার উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি করে। এই গ্যাস অক্সিজেনকে লঘু করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে সার উৎপাদন করা হচ্ছে।

খ) অক্সিজেনের প্রভাব

এই গ্যাস শ্বাসগ্রহণে দহনে এবং রাসায়নিক আবহবিকার ঘটাতে সাহায্য করে। জীবজগতের দেহের শক্তি ও উত্তাপ বাড়ানোর জন্য অক্সিজেন একান্ত প্রয়োজন।

(গ) কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব

এই গ্যাস উদ্ভিদের খাদ্য প্রস্তুতিতে, রাসায়নিক আবহবিকার ঘটাতে (অঙ্গারযোজন), বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। 

ঘ) ওজোন গ্যাসের প্রভাব

এই গ্যাস সূর্য থেকে আগত বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি যথা অতি বেগুনী রশ্মি, রঞ্জনরশ্মি, গামা রশ্মি, আলফা রশ্মি ইত্যাদি শোষণ করে জীবজগৎকে রক্ষা করে। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার প্রভাবে ওজোন গ্যাসের স্তর নষ্ট হতে চলেছে। রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনার থেকে সৃষ্ট ক্লোরো-ফ্লরো কার্বন (CFC) ওজোন স্তরকে ছিদ্র করছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার এবং কলকারখানা থেকে নির্গত ক্লোরিন ও নাইট্রিক অক্সাইড ওজোন স্তরের ঘনত্ব কমিয়ে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ পৃথিবীতে নানা কঠিন ব্যাধি ক্যান্সার, অন্ধত্ব, চর্মরোগ, প্রভৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ঙ) জলীয়বাষ্পের প্রভাব:

জলীয়বাষ্প থেকে তুষারপাত, বৃষ্টিপাত, শিশির, কুয়াশা, মেঘ ইত্যাদির সৃষ্টি হয়। উষ্ণতা  নিয়ন্ত্রণে জলীয়বাষ্পের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এব প্রভাবে শিলায় যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার সংঘটিত হয়। 

(চ) ধূলিকণা বা অ্যারোসলের প্রভাব:

ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘে পরিণত হয়। ধূলিকণা সৌরতাপ শোষণ করে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। সূর্য রশ্মি ধূলিকণায় প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয় বলে আকাশ নীল রঙের দেখায়।

(৫)রাসায়নিক গঠন বা উপাদান অনুসারে

স্তরবিন্যাস কর ।

উত্তর(ক) রাসায়নিক গঠন অনুসারে স্তরবিন্যাস: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও মহাকাশ সংস্থা NASA-র সমীক্ষা অনুসারে বায়ুমন্ডলকে হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার এই দুটি ভাগে ভাগ করা যায়।

বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস

(i) হোমোস্ফিয়ার বা সমমন্ডল (Homosphere): ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরদিকে ৯০ কি.মি. পর্যন্ত অংশে বায়ুমন্ডলের  রাসায়নিক গঠন ও বিভিন্ন উপাদানের পরিমাণ বা অনুপাত প্রায় সমান থাকে। এই স্তরকে হোমোস্ফিয়ার বা সমমন্ডল বলে।

(ii)হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমন্ডল (Hetorosphere):৯০কি.মি. থেকে ১০,০০০ কি.মি. পর্যন্ত অংশে বায়ুমন্ডলের গ্যাসীয় উপাদানগুলির অনুপাত সমান থাকে না। তাই এই স্তরটিকে হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল বলে। হেটেরোস্ফিয়ারকে চারটি উপ-স্তরে ভাগ করা যায়। যথা:

(a) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর: ৯০ কি.মি. থেকে ২০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে আণবিক নাইট্রোজেন স্তর বলে। এই অংশে আণবিক নাইট্রোজেন অধিক দেখা যায়।

b) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর: ২০০ —- ১১০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল পারমাণবিক অক্সিজেন দ্বারা গঠিত বলে একে পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর বলা হয়। 

(c) হিলিয়াম স্তর: ১১০০ কি.মি. থেকে ৩,৫০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্যহেতু এই স্তরকে হিলিয়াম স্তর বলে।

(d) হাইড্রোজেন স্তর: ৩,৫০০ কি.মি. থেকে ১০,০০০ কি.মি. পর্যন্ত অঞ্চল প্রধানত হাইড্রোজেন গ্যাস দ্বারা গঠিত।

৬)উষ্ণতা অনুসারে বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস কর:

উত্তর-উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে ৬টি স্তরে ভাগ ভরা যায়। যথা:

  • (i) ট্রপোস্ফিয়ার,                           
  •  (ii) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার:    
  •  (iii) মেসোস্ফিয়ার, 
  •  (iv) থার্মোস্ফিয়ার 
  • (v) এক্সোস্ফিয়ার
  • (vi) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।           

          

বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস

বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস প্রশ্নের সমাধান দশম শ্রেণি মাধ্যমিক wbbse part 1

(i) ট্রপোস্ফিয়ার (Troposphere)- ট্রপোস্ফিয়ার কথাটির অর্থ পরিবর্তন মণ্ডল বা ক্ষুব্ধ মন্ডল। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরদিকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৮ কি.মি. এবং মেরু অঞ্চলে ৯ কি.মি. বিরাজ পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে। এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর। বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৭৫ %গ্যাসীয় উপাদান, সমস্ত জলীয় বাষ্প, ও ধূলিকণা এই স্তরে অবস্থান করছে। এই স্তরে আবহাওয়ার যাবতীয় পরিবর্তন যথাঃ মেঘ, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, তুষারপাত, শিশির, কুয়াশা প্রভৃতি দৃষ্টিগোচর হয়। ট্রপোস্ফিয়ারে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় ৬.৪° সেঃ হারে উষ্ণতা কমতে থাকে।

ট্রপোপজ(Tropopause):ট্রপোস্ফিয়ারের উর্ধ্বসীমা ট্রপোপজ বা শান্তস্তর  নামে পরিচিত। ‘পজ কথার অর্থ  থেমে যাওয়া। এখানে  উষ্ণতা  স্থির অবস্থায়  থাকে।  কমেও না: বাড়েও না

(ii) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার:(Stratossphere):  ট্রপোপজের উপরের স্তরকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার   বা শান্তমন্ডল বলে। এটি উপর দিকে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। জলীয় বাষ্পের অভাবহেতু আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন হয় না। আবহাওয়া সব সময় শান্ত থাকে। ঝড়, বৃষ্টি হয় না বলে এই স্তরের মধ্য দিয়ে জেট বিমান স্বচ্ছ গতিতে যাতায়াত করতে পারে। এখানে উচ্চতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতার পরিবর্তন ট্রপোস্ফিয়ারের বিপরীত। অর্থাৎ এই স্তরে বায়ুর  উষ্ণতা, উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে  সঙ্গে বাড়তে থাকে।এই  স্তরে মেরু প্রদেশে  মৌক্তিক মেঘ দেখা যায় ।

• ওজোনোস্ফিয়ার (Ozonosphere): ২০-৪০ কি.মি. উচ্চতায় ওজোন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়। তাই এই স্তরকে ওজোনোস্ফিয়ার বা ওজোনমণ্ডল বলে। এই স্তর ছাঁকনির মত কাজ করে সূর্যের ক্ষতিকারক অতি-বেগুনীরশ্মি ভূ-পৃষ্ঠে পৌছাতে দেয় না।

স্ট্র্যাটোপজ (Stratopause): স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উর্ধ্বসীমাকে স্ট্র্যাটোপজ বলে। বায়ুর উষ্ণতা বাড়তে বাড়তে স্ট্র্যাটোপজে ০° সেঃগ্রেঃ পজ হয়ে যায় বা থেমে যায়।

(iii) মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere): স্ট্র্যাটোপজের উপরের স্তরকে মেসোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উর্ধসীমা থেকে ৮০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত  ।মেসোস্ফিয়ারের শেষ সীমাকে মেসোপজ বলে। মেসোস্ফিয়ারে বায়ুর উষ্ণতা, উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে কমতে কমতে মেসোপজে -১০০° সেঃগ্রেঃ পজ হয়ে যায় বা থেমে যায়। এই স্তরে মহাকাশ থেকে আগত অধিকাংশ উল্কা ধ্বংস হয়ে ছাই হয়ে যায়।এটি বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর।  এখানে নৈশদ্যুতি মেঘ দেখা যায় । 

 (iv) থার্মোস্ফিয়ার (Thermosphere): ৮০ – ৫০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরকে থার্মোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে বায়ুর উষ্ণতা, উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতহারে বাড়তে থাকে। ৫০০ কি.মি. উচ্চতায় বায়ুর উষ্ণতা প্রায় ১২০০° সেংগ্রেঃ হয়। এই স্তরের বায়ু খুব হাল্কা ও পাতলা। থার্মোস্ফিয়ারের দুটি অংশ। যথা সমতাপ মন্ডল এবং আয়নমন্ডল। থার্মোস্ফিয়ারের উপরের অংশ সমতাপমণ্ডল এবং নিচের ৪০০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে আয়নমন্ডল (Inosphere) বলে। আয়নমন্ডলে বিভিন্ন বেতার তরঙ্গ বাঁধা পেয়ে পুনরায় ভূ-পৃষ্ঠে ফিরে আসে। তাছাড়া এখানেই মেরুজ্যোতি (সুমের ও কুমের প্রভা) দেখতে পাওয়া যায় । 

(v) এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere): থার্মোস্ফিয়ারের উপরের স্তরকে এক্সোস্ফিয়ার বলে। এটি ৫০০-৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।প্রায় ১৫০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড হয়ে যায় । হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়। 

(vi)ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere): এক্সোস্ফিয়ারের উপরে বায়ুমণ্ডলের শেষসীমা পর্যন্ত স্তরটি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বা চৌম্বক মন্ডল নামে পরিচিত। এই স্তরে  ভ্যান অ্যালয় বিকিরণ  বলয় দেখা যায় ।

• বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব (Density): কাকে বলে ?

উত্তর-বায়ুমণ্ডলের কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন গ্যাসের যে পরিমাণ অণু অবস্থান করে তাকে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বলে। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর ঘনত্ব প্রতি ঘন মিটারে ১,২০০ গ্রাম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে উঠা যায় বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব ততই কমতে থাকে

.৭)  বায়ুর বৈশিষ্ট্য লিখ ।:

উত্তর-(১) বায়ু একপ্রকার মিশ্র পদার্থ। উষ্ণ বায়ু হাল্কা এবং শীতলবায় ভারী।  উষ্ণ বায়ু উপরে উঠে যায় এবং শীতলবায়ু নিচে নেমে আসে। (২) যে বায়ু যত  উষ্ণ, সেই বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা তত বেশি। (৩) জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু  বিশুদ্ধ বায়ু অপেক্ষা হাল্কা। (৪)  উষ্ণ বায়ুর চাপ কম এবং শীতল বায়ুর চাপ বেশি।

মাধ্যমিক সাজেশান ২০২৫

https://youtu.be/raoP-4C0jsY

Leave a Comment