ভূমিরূপ প্রক্রিয়া /পুঞ্জিত ক্ষয় (mass wasting) XII 3rd Semester


 Syllabus

(১) ভূ-আলোড়ন (Earth’s movement)

(২) বহির্জাত প্রক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ (Exogenic process and classification)

(৩) পুঞ্জিত ক্ষয় (mass wasting)

(৪)হিমবাহের কার্য (works of glacier)

(৫) ভৌমজলের কার্য (works of underground water)


(১) যে প্রক্রিয্যর সাহায্যে ভূমিভাগের গঠন ও পরিবর্তন হয় তাকে ভূমিরূপ প্রক্রিয়া বলে।

(২) ভূমিরূপ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অন্তর্জাত ও বহির্জাত শক্তি কার্য করে।

(৩) অন্তর্জাত শক্তি হল অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প

(8) বহির্জাত শক্তি হল-নদী, হিমবাহ, বায়ু

(৫) বিভিন্ন বহির্জাত শক্তি যথা- সূর্যতাপ, বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গ ভৌমজল ইত্যাদি দ্বারা যে প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপের বিবর্তন ঘটে এবং ভূ-পৃষ্ঠে ভূমিরূপের ভাস্কর্য তৈরি হয় তাকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।

(৬) বহির্জাত প্রক্রিয়ার উদাহরণ- নদীর কার্য, হিমবাহে কার্য, বায়ুপ্রবাহের কার্য, সমুদ্রতরঙ্গের কার্য, ভৌম জলের কার্য।

(ক) বহির্জাত প্রক্রিয়া একটি ধীরগতি সম্পন্ন প্রক্রিয়া।

(খ) বহির্জাত প্রক্রিয়ার প্রধান উৎস সূর্য

(গ) বহির্জাত প্রক্রিয়ায় ভূমিরূপে উচ্চতা বাড়তে পারে কিংবা কমতে পারে।  

(ঘ)  বহির্জাত প্রক্রিয়ার নতুন নতুন ভূমিরূণ গঠিত হয়।

(ঙ) বিভিন্ন প্রকৃতিক শক্তি (সৌরতাপ, তুষারপাত, বৃষ্টিপাত, নদী, বায়ু, হিমবাহ )

বহির্জাত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

ভূ – আলোড়ন – এটি ২ প্রকার
ধীর আলোড়ন (ধীরে ধীরে হয়)                 আকস্মিক আলোড়ন   (হঠাৎ হয় অগ্নুৎপাত ভূমিকম্প)
৷৷ ৷৷ ধীর আলোড়ন (ধীরে ধীরে হয়) এটি ৩ প্রকার
ভূগাঠনিক আলোড়নভূমিরূপ গঠিত হয় )সমস্থিতিক আলোড়নউচ্চতায় ভারসাম্য বজায়)ইউস্ট্যাটিকআলোড়নসমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান পতন
ভূ-গাঠনিক আলোড়ন (ভূমিরূপ গঠিত হয় )
গিরিজনি আলোড়ন(ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়)মহীভাবক আলোড়ন (মহাদেশ গঠিত হয়)
মহীভাবক আলোড়ন                    গিরিজনি আলোড়ন
প্রকৃতিউলম্ব আলোড়ন।অনুভূমিকা আলোড়ন
অপর নামএই আলোড়ন মহাদেশ গঠনকারী আলোড়ন নামে পরিচিত।আলোড়ন পর্বত গঠনকারী আলোড়ন নামে পরিচিত
সঞ্চালনপৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর কাজ করে পৃথিবীর স্পর্শক বরাবর কাজ করে 
ভূমিরূপ গঠনমহাদেশ মহাসাগর মালভূমি স্তূপ পর্বত গ্ৰস্ত উপত্যকা, চ্যুতি গড়ে ওঠে ভঙ্গিল পর্বত ভাঁজ সামুদ্রিক শৈলশিরা গঠিত হয়

বিষয়   
                  ধীর আলোড়ন           আকস্মিক আলোড়ন
গতিধীরে ধীরে সমম্পন হয় আকস্মিক অর্থাৎ হঠাৎ সম্পন্ন হয়।।
সময় দীঘ সময় লাগে ।অল্প সময় লাগে  ।
ব্যাপ্তিবিশাল এলাকাজুড়ে ঘটেস্বল্প এলাকায় জুড়ে ঘটে।
ভূমিরূপমহাদেশ, মহাসাগর, পর্বত,  ভাঁজ, চ্যুতি গঠিত হয় ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের ফলে নানা ভূমিরূপ গঠিত হয় 
মহীভাবক আলোড়ন        গিরিজনি আলোড়ন
প্রকৃতিউলম্ব আলোড়ন।অনুভূমিকা আলোড়ন
অপর নামএই আলোড়ন মহাদেশ গঠনকারী আলোড়ন নামে পরিচিত।আলোড়ন পর্বত গঠনকারী আলোড়ন নামে পরিচিত
সঞ্চালনপৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর কাজ করে পৃথিবীর স্পর্শক বরাবর কাজ করে 
ভূমিরূপ গঠনমহাদেশ মহাসাগর মালভূমি স্তূপ পর্বত গ্ৰস্ত উপত্যকা, চ্যুতি গড়ে ওঠে ভঙ্গিল পর্বত ভাঁজ সামুদ্রিক শৈলশিরা গঠিত হয়

বিষয়   
                  ধীর আলোড়ন           আকস্মিক আলোড়ন
গতিধীরে ধীরে সমম্পন হয় আকস্মিক অর্থাৎ হঠাৎ সম্পন্ন হয়।।
সময় দীঘ সময় লাগে ।অল্প সময় লাগে  ।
ব্যাপ্তিবিশাল এলাকাজুড়ে ঘটেস্বল্প এলাকায় জুড়ে ঘটে।
ভূমিরূপমহাদেশ, মহাসাগর, পর্বত,  ভাঁজ, চ্যুতি গঠিত হয় ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের ফলে নানা ভূমিরূপ গঠিত হয় 

(১) ব্যাপক এলাকা জুড়ে ভূমিভাগের মৃত্তিকা ও শিলাজাত পদার্থের ব্যাপক এলাকা জুড়ে। ভাঙন ও আলগা হয়ে পড়া এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সেগুলির অধগমন বা পতনকে পুঞ্জিত ক্ষয় বা পুঞ্জক্ষয় বলে।

বৈশিষ্ট্য:   (ক) এটি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা পরিচালিত

(খ) এটি ধীর বা হঠাৎ উভয় ভাবেই ঘটতে পারে।

(গ) বৃষ্টিপাত, বৃক্ষছেদন, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত পুঞ্জক্ষয়ের গতি বৃদ্ধি করে।

(ঘ) পুচ্ছক্ষয়ে বিস্তৃত অঞ্চলে শিথির মৃত্তিকা ও শিলাস্তর বাঁধনহারা বিচ্ছিন্ন হয়।

     (ক) প্রাকৃতিক কারণ (পরোক্ষ) গঠন, ঢাল, শিলা, স্তরায়ন, জলবায়ু, উদ্ভিদ।

     (খ) প্রাকৃতিক (সক্রিয়), ভূ- আলোড়ন, প্রবল বৃষ্টি 

     (গ) মনুষ্য সৃষ্টি কারণ – জীবিকা সংক্রান্ত কাজ উন্নয়নমূলক কাজ


                                          

  পুঞ্জ সঞ্চালন বা পুঞ্জিত ক্ষয় বা পুঞ্জ ক্ষয় শ্রেণীবিভাগ (classification of mass wasting )  
প্রবাহ 
 (Flow)
  বিসর্পণ   
 (creep  
 ভূমিধস  ( landslide)স্লাম্প 
 (slump)    
প্রপাত  
 (fall )
  অবনমন
(subsidence)

আবহবিকার দ্বারা চূর্ণ-বিচূর্ণ শিলা খন্ড মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ধীরে কিংবা দ্রুতগতিতে ভূমির  ঢাল বরাবর নিচে অবতরণ করাকে প্রবাহ বলে। প্রবাহকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(I) ধীর প্রবাহ (II) দ্রুত প্রবাহ 

(a)সলিফ্লাকশন(solifluction) : সলিফ্লাকশন (solifluction) শব্দটি যে দুটি শব্দ থেকে সৃষ্টি হয়েছে সেগুলি হল solum এবং fluere । solum = soil বা মাটি এবং fluere = flow  বা প্রবাহ । সুতরাং সলিফ্লাকশন কথার অর্থ মৃত্তিকা প্রবাহ । এই শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন 1906 খ্রিস্টাব্দে জে সি অ্যান্ডারসন (J. C. Anderson) শিথিল পদার্থ যখন বৃষ্টি কিংবা তুষার গলা জলে সঙ্গে নিচের দিকে নেমে আসে তখন তাকে সলিফ্লাকশন বলে।

(b) জেলিফ্লাকশন (jelifluction) :- বরফ গলা জলে মিশ্রিত শিথিল পদার্থ নিম্নদিকে আসার সময় যদি অভিকর্ষজ বলের চেয়ে তুষার গলা জল দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয় তবে তাকে জেলিফ্লাশন বলে। সাইবেরিয়ার পার্মাফেস্ট অঞ্চলে জেলিফ্লাকশন প্রক্রিয়া দেখা যায় । বাউলিগ 1956 সালে সর্বপ্রথম জেলিফ্লাকশন শব্দটি ব্যবহার করেন।

(I) কর্দম প্রবাহ:- জল মিশ্রিত কাদা নিচের দিকে প্রবাহিত হলে তাকে কর্দম প্রবাহ বলে। 

(II) মৃত্তিকা প্রবাহ বা ভূমি প্রবাহ (soil or earth flow) :- সূক্ষ সূক্ষ বিভিন্ন মৃত্তিকা কণা পরিবাহিত হলে তাকে মৃত্তিকা প্রবাহ বলে। 

(III) অবস্কর প্রবাহ (Debris flow) :- বিভিন্ন ধরনের ভূ পদার্থ অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে পতিত হলে তাকে অবস্কর প্রভাব বলে।

বৃষ্টির জল মিশ্রিত ভূ-পদার্থের অভিকর্ষজ বলের বলের প্রভাবে ধীরে ধীরে ভূমির ঢাল বরাবর নিচে দিকে নেমে আসাকে বিসর্পণ বাল।

বিসর্পণকে চার ভাগে ভাগ করা হয় –

(I) মৃত্তিকা বিসর্পর্ণ – মৃত্তিকার শিথিল আবরণ অর্থাৎ রেগোলিথ ধীর গতিতে (বছরে 1 সে.মির কম) ভূমির ঢাল বরাবর প্রবাহিত হলে তাকে মৃত্তিকা বিসর্পণ বলে। ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যে অর্থ্যাৎ নিরক্ষীয় অঞ্চলে মৃত্তিকা বিসর্পণ বেশি দেখা যায়।

(II) শিলা বিসর্পন: আবহবিকার দ্বারা চূর্ণ বিচূর্ণ শিলাখন্ড প্রবাহিত হলে তাকে শিলা বিসর্পণ বলে। গ্রানাইট, বেলেপাথর কংগ্লোমারেট শিলা বিচ্ছিন্ন হয়ে নিচের দিকে গড়িয়ে আসে।

(III) ট্যালাস বিসর্পণ :- শীতল পার্বত্য অঞ্চলে তুষার খণ্ডীকরণের ফলে (যান্ত্রিক আবহবিকারের পদ্ধতি) বি-খণ্ডিত ত্রিকোণাকৃতি শিলাখন্ড অর্থাৎ ট্যালাস নিচের দিকে নেমে এলে তাকে ট্যালাস বিসর্পণ বলে।

(IV) শিলা হিমবাহ বিসর্পর্ণ :- হিমবাহ গলা জলে মিশ্রিত অবস্থায় বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড মাধ্যাকর্ষণ শক্তির এভাবে নিচে নেমে এলে তাকে শিলা হিমবাহ বিসর্পণ বলে।

আবহবিকারগ্রস্ত বিভিন্ন পদার্থ, ভগ্নস্তূপ ঢাল বরাবর দ্রুত নেমে এলে তাকে ভূমিধস বলে। ভূমিধসকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

(I) শিলাধস:-  বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড (Rock slide) খাড়া ঢাল বরাবর ধসে পড়ে।

(II) ভগ্নস্তূপ বা অবস্কর ধস (Debris slide) :-বিভিন্ন আকতির ভগ্নস্তূপের খন্ড ধসে পাড়লে তাকে অবস্কর ধস বলে।

(III) প্রস্তরচাঁই ধস (Block Slide):– ভূমির ঢাল বরাবর ক্ষয়জাত পদার্থ স্তূপকারে পতিত হলে তাকে প্রস্তরচাঁই ধস বলে।

কোনো অবতল আকৃতির ভূমিভাগ বরাবর শিলাখন্ড, বোল্ডার  মৃত্তিকা কণা কিছুটা আবর্তিত হয়ে (পাক খেয়ে) নিচে নেমে এলে তাকে স্লাম্প বলে।

স্লাম্পকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(১) এক আবর্তনীয় স্লাম্প: শিলাসমূহ একবার আবর্তনে নেমে আসে।

(২) বহু আবর্তনীয় স্লাম্প :- শিলাখন্ড একাধিক ধাপে নেমে আসে।

(৩) ক্রমপর্যায়ক্রমিক স্লাম্প :-শিলাখন্ড ছোটো ছোটো অসংখ্য ধাপে প্রবাহিত হয়।

খাড়া ঢালে শিলাস্তূপ যখন নীচে অবনমিত হয় তখন তাকে পতন বা প্রপাত বলে। বৃষ্টি পাতের কারনে পতন নিয়মিত ঘটনা। 

পতন বা প্রপাতকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

(১) শিলা প্রপাত। (২) মৃত্তিকা প্রপাত (৩) ভগ্ন স্তূপ প্রপাত

শিলা প্রপাতঃ কোনো খাড়া ঢালের উপর থেকে শিলাখন্ড মুক্ত অবস্থায নিচে পড়লেথাকে শিলা প্রপাত বলে,

মৃত্তিকা প্রপাতি :-সূপ্ন সূক্ষ্ম মৃত্তিকা কণার পতনকে কে মূত্তিকা প্রপাত বলে।

  ভগ্ন স্তূপ প্রপাত :- উলঙ্গ কিংবা ঝুলন্ত ঢাল বরাবর ভগ্ন শিলাস্তূপে আতঙ্কে ভগ্নস্তূপ বলে।

প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গের ছাদ, খনি অঞ্চলের গহ্বর কোনো কারণে ধসে গোলে তাকে অবনমন বা অধপাত বলে। অবনমনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

ভাঙন (Collapse) গুহার ছাদ পাতলা হয়ে ভেঙে পড়লে তাকে ভাঙন বলে।

সেটেলমেন্ট বা বাস যাওয়া(Settlement):- উপরের ভারী শিলাস্তরের চাপে নিচের অংশ   বসে গেলে তাকে সেটেলমেন্ট বলে। ভৌমজল বেশি পরিমানে তোলা হলে ভূমি ভাগ বসে যায়।

ক্যাম্বারিং (Cambering): – মৃদুঢালে অবস্থিত পাতলা শিল্পস্তর নিচের দিকে নামতে থাকলে উপরের শিলাস্তর মূল শিলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অবনমন ঘটে। একে ক্যাম্বারিং বলে।

(১) লাহার বা লহর (Lahar) – আগ্নেয় গিরি অধ্যুষিত অঞ্চলে কর্দম প্রবাহ সৃষ্টি হলে তাকে লাহার বলে।

(২) সম্প্রপাত বা অ্যাভালেঞ্চ (Avalanche):– হিমারেখার উর্দ্ধে অত্যধিক পরিমাণে তৃষার জমা হওয়ার ফলে তুষারপিন্ড পর্বতের ঢাল বেয়ে প্রবলবেগে নিচে নেমে এলে তাকে হিমামী সম্প্রপাত বলে।

(৩) উপল (Topple): ফাটল সৃষ্টির কারণে মৃত্তিকা গড়িয়ে পড়লে তাকে টপল বলে।

(৪) পুঞ্জক্ষয়ের মূখ্য বা প্রাকৃতিক কারণ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন শক্তি বা অভিকর্ষজ বল।।

(৫) কেরলের ওয়েনাদ (waynad) ভূমিধস ভারতের বৃহত্তম ভূমিধস।

(৬) 1875 সালে গিলবার্ট (Gilbert) তাঁর গবেষণাপত্রে slump (স্লাম্প) শব্দটি ব্যবহার করেন। 

(৭) 1801 সালে ব্রিটিশ ভূ-তাত্ত্বিক উইলিয়াম স্মিথ (william smith) সর্বপ্রথম তার প্রতিবেদনে slide (স্লাইড) শব্দটি ব্যবহার করেন।

(৮) জি.কে. গিলবার্ট 1875সালে তার প্রতিবেদনে ‘mass wasting’ (মাস ওয়াস্টিং) শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। 

(৯) পুঞ্জক্ষয়ের ব্যাপক ধারণা দেন 1938 সালে বিজ্ঞানী শার্প (sharpe)

(১০) মসৃন ঢাল বরাবর বাধাহীনভাবে শিলাস্তরের নিচে নেমে আসাকে গ্লাইডিং (gliding) গল।


Leave a Comment