নদী ও হিমবাহের কাজ(works of river and glacier

  মগজাস্ত্র বা মনে রেখো 

১) নদী – ভূমির ঢাল বরাবর প্রবাহিত প্রাকৃতিক জলধারাকে নদী বলে। যেমন – গঙ্গা

২) নদীর উৎস (– যেখান থেকে নদীর উৎপত্তি হয় সেই স্থানকে নদীর উৎস বলে।যেমন – গঙ্গা নদীর উৎস গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা।

৩) নদীর মোহনা – যেখানে নদী পতিত হয় সেই স্থানকে নদীর মোহনা বলে।যেমন – গঙ্গা নদীর মোহনা হল বঙ্গোপসাগর। (সাগরদ্বীপের নিকটবর্তী স্থান)

৪) উপনদী – স্বতন্ত্রভাবে উৎপন্ন কোনো নদী অন্য নদীতে মিশলে তাকে উপনদী বলে।যেমন – গঙ্গার উপনদী যমুনা।

৫) প্র – উপনদী – উপনদীর উপনদীকে প্র – উপনদী  বলে। যেমন- চম্বল,এটি যমুনার উপনদী।

৬) শাখানদী – যে নদী কোনো নদী থেকে আলাদা হয়ে যায় তাকে শাখানদী বলে।যেমন- ভাগীরথী-হুগলী (এটি গঙ্গার শাখানদী)

৭) প্রশাখা নদী – শাখানদী থেকে বিচ্ছিন্ন নদীকে প্রশাখা নদী বলে। যেমন- পদ্মার শাখানদী হল মাথাভাঙ্গা, ইচ্ছামতী, এবং প্রশাখা নদী হল মধুমতি, কাপোতাক্ষ।

৮) জল বিভাজিকা (water shade)–যে উচ্চভূমি দ্বারা দুটি নদী অববাহিকা বিভক্ত তাকে জলবিভাজিকা বলে। যেমন – মধ্য ভারতের উচ্চভূমি।

৯) নদী দোয়াব – দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূ-ভাগতে নদী দোয়াৰ বলে। যেমন- গঙ্গা ও যমুনা নদীর দোয়াব।

১০) নদী উপত্যকা )- উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী যে খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে।

১১) নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমা —সমুদ্র জলতল হল নদীর ক্ষয়ের শেষসীমা।

১২) ষষ্ঠঘাতের সূত্র – নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হলে বহন ক্ষমতা ৬৪ জন বাড়ে। একে ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে

১৩) নদীর গতিবেগ মাপার একক – কিউসেক ও কিউমেক।

১৪) নদীর গতিবেগ পরিমাপক যন্ত্র – কারেন্টমিটার।

১৫) নদী অববাহিকা – মূল নদী, উপনদী, প্ৰ-উপনদী, শাখানদী, প্রশাখা নদী দ্বারা গঠিত বিস্তীর্ণ

ভূ-ভাগকে নদী অববাহিকা বলে। যেমন-গঙ্গা নদী অববাহিকা।

১৬) আদর্শ নদী – যে নদীর তিনটি গতি সুস্পষ্ট এবং যার পর্যায়িত ঢাল থাকে তাকে আদর্শ নদী বলে।যেমন – গঙ্গা, আমাজন।

১৭) নদীর গতি – আদর্শ নদীর তিনটি গতি, যথা (ক) উচ্চগতি বা পার্বত্য গতি(খ) মধ্যগতি বা সমভূমি

১৭) নদীর গতি – আদর্শ নদীর তিনটি গতি, যথা (ক) উচ্চগতি বা পার্বত্য গতি (খ) মধ্যগতি বা সমভূমি গতি(গ) নিম্নগতি বা ব-দ্বীপ গতি

১৮) নদীর কাজ— নদীর প্রধান কাজ তিনটি। যথা – ক্ষয়কাৰ্য, ৰহন কাৰ্য, সঞ্চয় ৰা অবক্ষেপণ কার্য।

১৯) নদীর ক্ষয়পদ্ধতি – নদী প্রধানত চারটি পদ্ধতিতে ক্ষয় করে। যথা – জলপ্রবাহ, ঘর্ষণ, অবঘর্ষ, দ্রবণ।

২০) নদীর বহন পদ্ধতি – নদীর প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার বহনকার্য সম্পন্ন করে। যথা – টান বা আকর্ষণ,লক্ষদান, ভাসমান, দ্রবণ।

২১) নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরুপ – I ও V আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত ও ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত, কর্তিতশৈলশিরা, মন্থকূপ।

২২) নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ – পলল শঙ্কু ও পলল ব্যজনী, পলিগঠিত সমভূমি ও প্লাবনভূমি,নদীবাঁক  ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, স্বাভাবিকবাঁধ, নদীচৰ, ব-দ্বীপ।

২৩) প্লাঞ্জপুল বা প্ৰপতি কূপ- জলপ্রপাতের জল যেখানে প্ৰবলৰেগে পতিত হয়সেখানে জলস্রোতের আঘাতে যে গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে  প্লাঞ্জপুল বলে।

২৪) মন্থকূপ(Pot hole)- নদীর অবঘর্ষ ক্রিয়া দ্বারা গঠিত হাঁড়ির ন্যায় গর্তকে মন্থকূপ বলে।

১৭) নদীর গতি – আদর্শ নদীর তিনটি গতি, যথা (ক) উচ্চগতি বা পার্বত্য গতি (খ) মধ্যগতি বা সমভূমি গতি (গ) নিম্নগতি বা ব-দ্বীপ গতি

১৮) নদীর কাজ— নদীর প্রধান কাজ তিনটি। যথা – ক্ষয়কাৰ্য, ৰহন কাৰ্য, সঞ্চয় ৰা অবক্ষেপণ কার্য।

১৯) নদীর ক্ষয়পদ্ধতি – নদী প্রধানত চারটি পদ্ধতিতে ক্ষয় করে। যথা – জলপ্রবাহ, ঘর্ষণ, অবঘর্ষ, দ্রবণ।

২০) নদীর বহন পদ্ধতি – নদীর প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার বহনকার্য সম্পন্ন করে। যথা – টান বা আকর্ষণ  লক্ষদান, ভাসমান, দ্রবণ।

২১) নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরুপ – I ও V আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত ও ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত, কর্তিত শৈলশিরা, মন্থকূপ।

২২) নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ – পলল শঙ্কু ও পলল ব্যজনী, পলিগঠিত সমভূমি ও প্লাবনভূমি, নদীবাঁক ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, স্বাভাবিকবাঁধ, নদীচৰ, ব-দ্বীপ।

২৩) প্লাঞ্জপুল বা প্ৰপতি কূপ(plunge pool)- জলপ্রপাতের জল যেখানে প্ৰবলৰেগে পতিত হয় সেখানে জলস্রোতের আঘাতে যে গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে  প্লাঞ্জপুল বলে।

১৭) নদীর গতি – আদর্শ নদীর তিনটি গতি, যথা (ক) উচ্চগতি বা পার্বত্য গতি (খ) মধ্যগতি বা সমভূমি গতি (গ) নিম্নগতি বা ব-দ্বীপ গতি

১৮) নদীর কাজ— নদীর প্রধান কাজ তিনটি। যথা – ক্ষয়কাৰ্য, ৰহন কাৰ্য, সঞ্চয় ৰা অবক্ষেপণ কার্য।

১৯) নদীর ক্ষয়পদ্ধতি – নদী প্রধানত চারটি পদ্ধতিতে ক্ষয় করে। যথা – জলপ্রবাহ, ঘর্ষণ, অবঘর্ষ, দ্রবণ।

২০) নদীর বহন পদ্ধতি – নদীর প্রধানত চারটি প্রক্রিয়ার বহনকার্য সম্পন্ন করে। যথা – টান বা আকর্ষণ,লম্ফদান, ভাসমান, দ্রবণ।

২১) নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরুপ – I ও V আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত ও ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত, কর্তিত শৈলশিরা, মন্থকূপ।

২২) নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ – পলল শঙ্কু ও পলল ব্যজনী, পলিগঠিত সমভূমি ও প্লাবনভূমি, নদীবাঁক ওঅশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, স্বাভাবিকবাঁধ, নদীচর, ব-দ্বীপ।

২৩) প্লাঞ্জপুল বা প্ৰপতি কূপ(plunge pool)- জলপ্রপাতের জল যেখানে প্ৰবলৰেগে পতিত হয় সেখানে জলস্রোতের আঘাতে যে গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে  প্লাঞ্জপুল বলে।

২৪) মন্থকূপ(Pot hole)- নদীর অবঘর্ষ ক্রিয়া দ্বারা গঠিত হাঁড়ির ন্যায় গর্তকে মন্থকূপ বলে।

২৫) জলপ্রপাত (waterfall)– নদী তার প্রবাহপথে হঠাৎ খাড়া ঢাল বরাবর নিচে পতিত হলে তাকে জলপ্রপাত বলে।২৬) মিয়েন্ডার– নদীর আঁকাবাঁকা পথকে মিয়েন্ডার বলে।

২৭) পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী – নীলনদ (৬৮৫৩ কিমি)।

২৮) পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা— আমাজন নদী অববাহিকা।

২১) ভারতের দীর্ঘতম নদী – গঙ্গা (ভারতে এর দৈর্ঘ্য ২০৭১ কিমি)।

৩০) পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন – কলেরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন

৩১) পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত – গণ্ডকী নদীর উপর অবস্থিত কালী গণ্ডকী, গভীরতা (৫৫৭১ মিটার)।

৩২) পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত – দক্ষিণ আমেরিকার ভেনেজুয়েলা দেশের ক্যারাও ক্যারোনি নদীর সাল্টো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত (উচ্চতা৯৮৬ মি)।

৩৩) পৃথিবীর সুন্দরতম জলপ্রপাত – আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নায়াগ্রা নদীর নায়াগ্রা জলপ্রপাত।

৩৪) ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত –মহারাষ্ট্রের ভারাই নদীর কুঞ্চীকল জলপ্রপাত (উচ্চতা ৪৫৫ মিটার)।

৪১) শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত অবস্থিত – কাবেরী নদীতে।

৪২) পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ – সুন্দরবন (গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ব-দ্বীপ)।

৪৩) পৃথিবীর বৃহত্তম খাঁড়ি – ওব নদীর খাঁড়ি।

88) পাখির পায়ের মত ব-দ্বীপ – মিসিসিপি নদীর ব-দ্বীপ।

৩৫) ভারতের সুন্দরতম জলপ্রপাত বা ভারতের নায়াগ্রা – গোদাবরীর উপনদী ইন্দ্রাবতী নদীর উপর অবস্থিত চিত্রকূট জলপ্রপাত।

৩৬) পৃথিবীর বৃহত্তম নদী মধ্যবর্তী দ্বীপ – আমাজন নদীর মোহনায় অবস্থিত ইলহা-দ্য মারাজো(আয়তন– ৪০,১০০ বর্গ কিমি)।

৩৭) ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপ- ব্রহ্মপুত্র নদের মাজুলি (৪২২ বর্গ কিমি)।

৩৮) পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত – আফ্রিকার জাম্বেসী নদীর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।

৩১) জলপ্রপাতে সৃষ্ট কূপ – প্ৰপাত কৃপ

৪০) নর্মদা নদীর জলপ্রপাত – কপিলধারা, ধুয়াধার।

৪৫) তীক্ষ্ণাগ্র ব-দ্বীপ – ইতালির তাইবার ব-দ্বীপ।

৪৬) ধনুকাকৃতি ৰ-দ্বীপ- গঙ্গা, সিন্ধু নদের ব-দ্বীপ।

৪৭) খরস্রোত বা Rapid– আফ্রিকার জাইরে নদীর লিভিংস্টোন জলপ্রপাতে ৩২ টি খরস্রোত আছে।

৪৮) ক্যাটারাক্ট( Cataract)– আফ্রিকার জাম্বেসী নদীর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত হল একটি ক্যাটারাক্ট।

৪৯) কাসকেড(Cascade) – উত্তর আয়ারল্যান্ডের টিয়ারস অফ দ্য গ্লেন।

৫০) মিয়েল্ডার(meander) – তুরস্কের মিয়েন্ড্রস নদীতে সবচেয়ে বেশি বাঁক দেখা যায় বলে পৃথিবীর সব নদী বাঁককে মিয়েন্ডার বলে।

৫১) আমাজন নদী – এই নদী সবচেয়ে বেশি জল বহন করতে পারে।

হিমবাহের কার্য (Work of glacier)

১) হিমবাহ(Glacier) – ধীরগতি সম্পন্ন ভূমির ঢাল বরাবর প্রবাহিত বরফের চাঁইকে হিমবাহ বলে। যেমন – সিয়াচেন

২) হিমরেখা(Snow Line) – যে কাল্পনিক সীমারেখার উপরে জল বরফে পরিণত হয়, তাকে হিমরেখা বলে। হিমালয়ে হিমরেখার উচ্চতা ৪৫০০ মিটার।

৩) হিমশৈল (Iceberg)– সমুদ্রে ভাসমান বরফের স্তূপকেহিমশৈল বলে। হিমশৈল মগ্নচড়া সৃষ্টিতে সাহায্য করে। এর 1/9 অংশ জলের উপরে ভাসে।

৪) পৃথিবীর দ্রুততম হিমবাহ – গ্রীনল্যান্ডের জ্যাকবসভ্যান, গতিবেগ প্রতিদিনে ৪২-৪৬ মিটার।

৫) পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ– অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট হিমবাহ

৬) পৃথিবীর বৃহত্তম উপত্যকা হিমবাহ – আলাস্কার হুবার্ড (দৈর্ঘ্য ১১৫ কিমি, প্রস্থ ১০ কিমি)

৭) পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহ – আলাস্কার মালাসপিনা

৮) বার্গস্রুন্ড – পর্বতগাত্র ও হিমবাহের মধ্যে যে সঙ্কীর্ণ ফাঁক দেখা যায় তাকে বার্গস্রুন্ড বলে।

(৯) ক্রেভাস – হিমবাহের মধ্যে যে ফাটল দেখা যায় তাকে ক্রেভাস বলে।

১০) হিমবাহের ক্ষয়জাত ভূমিরূপ – করি বা সার্ক, করি হ্রদ, এরিটি, পিরামিড চূড়া, U-আকৃতির উপত্যকা,

ঝুলন্ত উপত্যকা, রসে মতানে,ক্র‍্যাগ ও টেল, ফিয়োর্ড

১১) হিমবাহের সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ- গ্রাবরেখা, ড্রামলিন, এস্কার, কেম, ইরাটিক্‌স বা আগামুখ।

১২) হিমবাহ ও নদীর মিলিত কার্যে গঠিত ভূমিরূপ – নদী বিধৌত সমভূমি।

১৩) পিরামিড চূড়ার উদাহরণ – নীলকণ্ঠ, ম্যাটারহর্ন

১৪) ফিয়োর্ড – সমুদ্র উপকূলে অর্ধ নিমগ্ন হিমবাহ উপত্যকাকে ফিয়োর্ড বলে। নরওয়ের সোভনে

পৃথিবীর গভীরতম ফিয়োর্ড।

১৫) ভার্ব – কেটল হ্রদে সঞ্চিত পলিকে ভাৰ্ব বলে।

১৬)Busket of egg topographyড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলকে Busket of egg topography বলে।

১৭) ঝুলন্ত উপত্যকায় সৃষ্টি হয় – জলপ্রপাত।

১৮) হিমর্সিড়িতে সৃষ্ট হ্রদের নাম – প্যাটারনস্টার হ্রদ

১৯) রসে মতানের উদাহরণ- ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যাম্বার্ট ডেম।

২০) The Land of fiords নামে পরিচিত- নরওয়ে।

২১) ভারতের বৃহত্তম হিমবাহ – সিয়াচেন।

২২) পৃথিবীর বৃহত্তম সার্ক -অ্যান্টার্কটিকার ওয়ালকট সার্ক।

২৩) ড্রামলিন দেখতে – উল্টানো নৌকা বা চামচের মতো।

২৪) এস্কার দেখতে – আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো।

২৫) কেম দেখতে – ত্রিভুজাকৃতি বা ব-দ্বীপের মতো

Leave a Comment