ভূগোল প্রশ্নোত্তর তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ভূগোল -নবম শ্রেণী

মনে রেখো
- পৃথিবীর আয়তন -৫১ কোটি ৫৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
- পৃথিবীর পরিধি ৪০ হাজার কিমি
- পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ১২৭৫৭ কিমি
- পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলাকার
- পৃথিবীর মেরু অক্ষর কক্ষতলের সঙ্গে ৬৬°৩০’ কোণে থাকে
- পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলে
- মঙ্গলকে লাল গ্রহ বলে
- ২১ জুন কর্কট সংক্রান্তি
- ২২ শে ডিসেম্বর মকর সংক্রান্তি
- ২৩ শে সেপ্টেম্বর জলবিষুব
- ২১ শে মার্চ মহাবিষুব
- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা ৮২°৩০’পূর্ব
- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মান ১৮০ডিগ্রি
- কলকাতায় পৃথিবীর আবর্তন গতিবেগ ১৫২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবীর আবর্তন গতিবেগ সবচেয়ে বেশি এবং মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে কম
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে দিন রাত্রি হ্রাস বৃদ্ধি হয় না
- ৩রা জানুয়ারি অনুসুর, ৪ জুলাই অপসুর
- নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে
- অক্ষরেখা গুলি পরস্পর সমান্তরাল
- দাগিমা রেখা গুলি পরস্পর অসমান্তরাল
- নিরক্ষীয় অঞ্চলের একটি সারা বছর সমান থাকে
- অবরোহন প্রক্রিয়ায় ভূমির উচ্চতা কমে।
- আরোহনে ভূমির উচ্চতা বাড়ে
- অগ্নুৎপাত ভূমিকম্প হলে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া
- বায়ুর কার্য হিমবাহের কার্য হল বহির্জাত প্রক্রিয়া
- জারণ প্রক্রিয়া শিলাই মরিচা পড়ে
- গ্রানাইট জাতীয় শল্কমোচন দেখা যায়
- আবহবিকার তিন প্রকার
- মরু অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার বেশি দেখা যায়
- পামির পৃথিবীর উচ্চতম মালভূমি
- আরাবল্লী একটি ক্ষয়জাত পর্বত
- সাতপুরা ক্রিস্টো পর্বত
- পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি মৌনালোয়া
- লাভা মালভূমি সিঁড়ির মতো ধাপ বিশিষ্ট হয়
- উপকূল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে
- ভূকম্প জনিত সামুদ্রিক ঢেউকে সুনামি বলে
- রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়
- ২২ শে ডিসেম্বরের পর সূর্যের উত্তরায়ন হয়
- আফ্রিকার রিফট ভ্যালি পৃথিবীর দীর্ঘতম গ্রস্ত উপত্যকা
- বন্যা হল মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয়
- পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙ্গ,কালিম্পং এ ধ্বস বেশি দেখা যায়
- পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দা কফু
- অযোধ্যা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ চামটাবুরু
- তরাই শব্দের অর্থ হলো স্যাঁতসেতে ভূমি
- বক্সা ও ডুয়ার্স অঞ্চলের পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
- পশ্চিমবঙ্গের খরা প্রবণ জেলা হলো পুরুলিয়া বাঁকুড়া।
- তিস্তাকে ত্রাসের নদী বলে
- দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদীর মিলিত রূপকে রূপনারায়ণ বলে।
- কংসাবতী ও কেলেঘাই নদীর মিলিত রূপকে হলদি বলে
- পাটকে সোনালী তন্তু বলে।
- দুর্গাপুর কে ভারতের রুঢ় বলে
- কলকাতা সেক্টর ফাইভ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নত
মালভূমির শ্রেণিবিভাগ (Classification of plateau )
মালভূমির শ্রেণিবিভাগ (Classification) : (১) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি (Intermont plateau) : ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সময়ে ভূ-আলোড়নের ফলে তাদের মধ্যবর্তী স্থানগুলি উঁচু হয়ে মালভূমিতে পরিণতহয়। এভাবে যেসব মালভূমির সৃষ্টি হয়েছে সেগুলি পর্বতদ্বারা বেষ্টিত। তাই এদেরপর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলা হয়। উদাহরণ : তিব্বতের মালভূমি, ইরানের মালভূমি ।
(২) শিল্ড বা মহাদেশীয় মালভূমি (Continental plateau) : পাত সংস্থান পাতের সমন্বয়ে গঠিত ছিল, ভূ-আলোড়নের প্রভাবে তত্ত্ব অনুযায়ী প্রাচীন ভূ-খণ্ড গণ্ডোয়ানা ও আঙ্গারাল্যান্ড যারা কয়েকটি সঞ্চরণশীল তাদের মধ্যস্থিত পাতগুলি সঞ্চালনের ফলে সম্মিলিত প্রাচীন ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ।মহাদেশীয় মালভূমি রূপে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। এইসব মালভূমি প্রাচীন শিলা দ্বারাগঠিত। তাই এদের শীল্ড (Shield) বলে। পৃথিবীতেমোট ১২টি শীল্ড অঞ্চল আছে। উদাহরণ কানাডিয়ান শীল্ড, আফ্রিকান শীল্ড, দাক্ষিণাত্য মালভূমি শীল্ড ইত্যাদি। এশিয়া মহাদেশে সবচেয়ে বেশি শীল্ড দেখা যায়।
(৩) ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি (Dissected Plateau) : বিস্তীর্ণ কোন মালভূমি অঞ্চল যদি ছোট ছোট নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন থাকে তবে তাকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। যেমন – কর্ণাটকের মালভূমি।
• (৪) লাভা গঠিত মালভূমি (Lava Plateau) : ভূ-পৃষ্ঠের কোন ফাটল বাছিদ্র দিয়ে ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা লাভা রূপে বেরিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের ওপর সঞ্চিত হয়। ঐ লাভাশীতল ও কঠিন হয়ে উঁচু মালভূমি গঠন করলেতাকে লাভা গঠিত মালভূমি বলে। উদাহরণ :মহারাষ্ট্রের মালভূমি। লাভা গঠিত দাক্ষিণাত্যমালভূমির উত্তর-পশ্চিম অংশ প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সিঁড়ির মত ধাপে ধাপে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নেমে গেছে। তাই একে ডেকানট্রাপ বলে।

পর্বতবেষ্টিত মালভূমি (Intermont plateau)

লাভা গঠিত মালভূমি (Lava Plateau) :
ভূমিকম্প (Earthquake )
১)ভূমিকম্প (Earthquake ) : জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাত শক্তি দ্বারা উৎপন্ন পৃথিবীর আকস্মিক কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। ভূমিকম্প একপ্রকার হৃদয় বিদারক প্রাকৃতিক ঘটনা।
•(২) -ভূমিকম্পের কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র (centre and Epicentre): ভূ-গর্ভের যেখানে প্রথম কম্পন শুরু হয়, সেই স্থানকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটারের নিচে অবস্থান করে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র বরাবর উপরে অবস্থিত ভূ-পৃষ্ঠস্থ স্থানটিকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে।
(৩)ভূমিকম্পলিখ যন্ত্র বা সিসমোগ্রাফ (Seismograph): যে যন্ত্রের সাহায্যে ভূ-কম্প তরঙ্গের গতিবিধির রেখাচিত্র পাওয়া যায়,তাকে ভূকম্পলিখ যন্ত্র বা সিসমোগ্রাফ বলে। জন মিলনে এটি আবিষ্কার করেন।
(৪)ভূকম্প পরিলেখ বা সিসমোগ্রাম( Seismogram)-
সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে যে গ্রাফের আকারে ভূ-কম্প ধরা পড়ে তাকে সিসমোগ্রাম বলে।
৫)সিসমোলজি(Seismology)-বিজ্ঞানের যে শাখায় ভূমিকম্প সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে সিসমোলজি-বা ভূ-কম্প বিদ্যা বলে।
(৬)ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপের স্কেল
(ক) রিখটার স্কেল (Richter scale)-
ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপকারী স্কেলকে রিখটার স্কেল বলে। রিখটার নামে এক মার্কিন বিজ্ঞানী ১৯৩৫ সালে এই স্কেলটি আবিষ্কার করেন। এইস্কেলে ১ থেকে ১০টি ভাগ থাকে। সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে এটি বসানো থাকে।
(খ) মার্সেলি স্কেল বা মার্কেলি স্কেল (Mercalli scale) :-মার্সেলি বা মার্কেলি নামে এক বিজ্ঞানী ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার জন্য যে স্কেলটি আবিষ্কার করেন সেটি মার্সেলি স্কেল নামে পরিচিত। এতে ১ থেকে ১২টি ভাগ থাকে।ইতালির ভূমিকম্প বিশারদ Mercalli ১৯০২ সালে এটি আবিষ্কার করেন।
(গ)ইগেন স্কেল – ১৮২৮ সালে ভূবিজ্ঞানী ইগেন এটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। এই স্কেলের ইউনিট সংখ্যা
১ থেকে ৬ ।
(ঘ) রোসি-ফোরেল স্কেল- ইতালিয়ান ভূবিজ্ঞানী রোসি এবং সুইস প্রকৃতি বিজ্ঞানী ফোরেল এটি আবিষ্কার করেন ১৮৮৩ সালে ।এই স্কেলের সংখ্যা ছিল ১ থেকে ১০ ।
(৭) ভূমিকম্পের কারণ (Causes of Earthquake) :
নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য ভূ-পৃষ্ঠে ভূমিকম্প হয়।
(ক) পাত সঞ্চালন-আধুনিক ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিসারী ও অভিসারী নিরপেক্ষপাত সীমানায় ভূমিকম্প হয় । দুটি পাত পরস্পর থেকে দূরে সরে গেলে ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা উপরে উঠে আসে এবং প্রবল চাপ সৃষ্টি করলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।আবার দুটি পাত পরস্পরের কাছে চলে এলে ভারী পাত হালকা পাতের নিচে প্রবেশ করলে তাদের সংঘর্ষে ভূমিকম্প অনুভূত হয় । আবার নিরপেক্ষ পাত সীমানাতেও শিলাচ্যুতি ঘটলে ভূমিকম্প হয় ।
(খ) অগ্ন্যুৎপাত–আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূ-ত্বক কেঁপে উঠে।
(গ) জলীয় বাষ্পের ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ-ভূ-গর্ভে সঞ্চিত জলীয় বাষ্পের প্রবল উর্ধ্বমুখী চাপের প্রভাবে ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
(ঘ) ধস ও হিমানী সম্প্রপাত-ধস্ কিংবা হিমানী সম্প্রপাতের জন্য অনেক সময় ভূ-কম্প অনুভূত হয়।
(ঙ)তাপ বিকিরণ-ভূ-অভ্যন্তরস্থিত শিলাসমূহের তাপবিকিরণজনিত সঙ্কোচনের ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
(চ)অন্যান্য কারণ -(i)নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে গঠনকার্য অনবরত চলতে থাকায় সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
(iii)চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে গুহার ছাদ ধসে পড়লে ঐ অঞ্চলে ভূ-কম্প হয়।
(iv) সমুদ্রগর্ভে অবক্ষেপণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে চাপের তারতম্য দেখা যায় এবং ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
(v) উল্কাপাত, পারমাণবিক বিস্ফোরণ, ডিনামাইট বিস্ফোরণ কৃত্রিম জলাধার নির্মাণ প্রভৃতি ভূ-কম্প
সমুদ্র কম্প (seaquake) -সমুদ্র তলদেশে বা সমুদ্রের বক্ষে ভূমিকম্প অনুভূত হলে তাকে সমুদ্রকম্প বলে। সুনামি প্রবণ এলাকাগুলিতে সমুদ্রকম্প বেশি দেখা যায়। যেমন- জাপান
সুনামি (Tsunami)-–Tsunami(সুনামি) একটি জাপানি শব্দ।Tsu =Harbour,(পোতাশ্রয় )Nami = wave(তরঙ্গ) পোতাশ্রয় বা বন্দর এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে যে জলোচ্ছ্বাস দেখা যায় তাকে সুনামি বলে। সুনামির ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করে এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবল ক্ষতিসাধন করে।
জাপানে বেশি ভূমিকম্প হওয়ার কারণ- জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার মধ্যে পড়ে ।
জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত ও এশিয়ার পাত সীমান্তে অবস্থিত । জাপানে অনেক পর্বত আছে ।


জিয়োড কাকে বলে?
রেগোলিথ কি?
অনুসূর অপসুর কাকে বলে?
সমভূমি কাকে বলে?
আবহবিকার ক্ষয়ীভবনের পার্থক্য লেখ।
খরা ও বন্যার কারণ লিখ।
আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বাকা কেন?
হুগলি নদীর উভয় তীরে পাট শিল্প বিকাশ লাভ করেছে কেন?
গম চাষের ভৌগোলিক পরিবেশ লেখ
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখ।
পুনর্ভব অপুনর্ভব সম্পদের পার্থক্য লেখ
স্কেল কাকে বলে?
পশ্চিমবঙ্গের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৈশিষ্ট্য লিখ
সম্পদের কার্যকারিতা তথ্য লেখ।
প্রমাণ সময় ও স্থানীয় সময়ের পার্থক্য লেখ
ভগ্নাংশসূচক স্কেল কাকে বলে ?
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কাকে বলে
কি জন্য বিখ্যাত
শান্তিনিকেতন
তারাপীঠ
কামারপুকুর
দার্জিলিং
হাজারদুয়ারি