শাস্ত্র বা বিষয় হিসেবে ভূগোল (Geography as a discipline) 

 প্রাকৃতিক ভূগোলের মৌলিক বিষয়সমূহ, শাস্ত্র হিসেবে ভূগোল

    Class -11 1st Semester Geography as a discipline     

         

শাস্ত্র হিসেবে ভূগোল
শাস্ত্র হিসেবে ভূগোল

             

                            

শাস্ত্র বা বিষয় হিসেবে ভূগোল (Geography as a discipline)                  
(১)ভূগোলের আক্ষরিক অর্থ: ‘ভূগোল শব্দটির ইংরেজী প্রতিশব্দ Geography. গ্রিক পণ্ডিত এরাটোসথেনিস(Eratosthenes) [276-194 খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ]234 খ্রিস্ট পূর্বাব্দে Geography শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। Geography শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ  geo(ge) এবং graphos থেকে সৃষ্টি হয়েছে। geo = earth,  graphos = description সুতরাং Geography means the description of the earth. ভূগোলের অর্থ পৃথিবীর বর্ণনা ( source NCERT

ভূগোলের বিভিন্ন শাখা (different branches)            

ভূগোলের প্রধান শাখা ৪টি। যথা-

(১)প্রাকৃতিক ভূগোল (Physical Geography)

(২) অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography.).

(৩)মানবীয় ভূগোল(HumanGeography)

(8) জীব ভূগোল(Bio – Geography)                    

 (১) প্রাকৃতিক ভূগোল (Physical Geography)

ভূগোলের যে অংশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য যথা- পাহাড়, পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, নদী, হিমবাহ, বায়ু, সমুদ্র তরঙ্গ, সাগর, মহাসাগর, হ্রদ, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, খরা, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবহাওয়া ও জলবায়ু, মৃত্তিকা, ভূ-আন্দোলন প্রভৃতি বিষয় আলোচিত হয় তাকে প্রাকৃতিক ভূগোল বলে । 

গ)ভূগোলবিদ পিটার হ্যাগেটের (peter Haggett) মতে , যে শাস্ত্র ভূ-পৃষ্ঠকে মানব গোষ্ঠীর বসবাসের দেশ হিসেবে পর্যালোচনা করে, তাকে ভূগোল বলা হয়।(Geography is the study of earth’s surfare as the space within which the human Population lives)

 ঘ)এল ডি স্ট্যাম্প (L.D. Stamp) বলেছেনভূগোল হল পৃথিবী ও তার অধিবাসীদের বিবরণ  সংক্রান্ত বিষয়। Geography is a description of the world and its inhabitants.”

 ঙ) ফেয়ারগ্রিভের (Fairgrieve) ভাষায় ভূগোল  হল এমন এক বিজ্ঞান যা পৃথিবী ও মানুষের পারস্পরিক সম্বন্ধবোধ সম্পর্কে আলোচনা করে। Geography is the science which treats the relation between the Earth and the man’

 (চ) প্রোফেসর ই. এ ম্যাকনি (professor E-A Macnee) বলেছেন  ভূগোল হল পৃথিবীর অধ্যয়ন যা  মানুষের বাসভূমি হিসেবে পরিচিত। Geography is the study of the Earth as the home of man.

(ছ)গ্রিক ভূগোলবিদ স্ট্র‍্যাবো(strabo) বলেছেন  ভূগোল পৃথিবীর জলভাগ ও স্থলভাগের জীব সম্পর্কে  জ্ঞান দেয় এবং পৃথিবীর আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে বর্ণনাও ব্যাখ্যা করে। 

প্রাকৃতিক ভূগোলের শাখাসমূহঃ(Branches of physical geography) 

(ক) জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ভূগোল (Astronomical Geography) 

(গ) ভূমিরূপ বিদ্যা (Geomorphology)

(ঘ) আবহবিদ্যা (Meteorology)

(ঙ)জলবায়ুবিদ্যা(Climatology )

(চ)সমুদ্রবিদ্যা (Oceanography )

(ছ) মৃত্তিকা ভূগোল(Soil Geography)

(জ) দুর্যোগ বা বিপর্যয় ভূগোল (Hazard Geography)

প্রাকৃতিক ভূগোলের যে আটটি শাখা আছে তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে।

    

   ১)মহাকাশ বা জ্যোতির্বিদ্যা (Astronomy)-প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্যতম শাখা হলো মহাকাশ বা জ্যোতির্বিদ্যা। ব্রহ্মান্ডে পৃথিবী সহ বিভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্রের অবস্থান, তাদের  আকৃতি, আবর্তন, পরিক্রমণ, অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা, সময় নির্ণয়, ইত্যাদি সম্পর্কে জ্যোতির্বিদ্যা  গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করে ও আলোচনা করে। এখানে মানচিত্র অঙ্কনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। GPS,(Global positioning system)GIS(geographical information system) Remote  sensing ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

২)ভূ-তত্ত্ববিদ্যা (Geology)-ভূ-তত্ত্ববিদ্যায় শিলার গঠন বয়স, ভূ-অভ্যন্তরের ধারণা, খনি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। 

৩)ভূমিরূপ বিদ্যা (Geomorphology)-প্রাকৃতিক ভূগোলের বৃহত্তম শাখা হলো ভূমিরূপ বিদ্যা।  এখানে আবহবিকার, বিভিন্ন ভূমিরূপ ( পাহাড়-পর্বত, মালভূমি)অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

৪)আবহবিদ্যা (Meteorology)আবহবিদ্যার সাহায্যে আমরা বিভিন্ন সময়ের আবহাওয়া সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পারি। 

৫)জলবায়ু বিদ্যা (Climatology)- জলবায়ু বিদ্যার সাহায্যে আমরা বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি। বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস, আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান, উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনে জলবায়ুর প্রভাব, কৃষি ও শিল্পে জলবায়ুর প্রভাব, মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জলবায়ুর ভূমিকা ইত্যাদি নানা বিষয় আলোচিত হয় 

৬)সমুদ্রবিদ্যা (Oceanography)-এই শাখার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি সাগর,মহাসাগরের সৃষ্টি, মহাসাগরীয় তলদেশের ভূ-প্রকৃতি, সমুদ্র জলের লবণতা, উষ্ণতা , সমুদ্রস্রোত, জোয়ার ভাটা, সামুদ্রিক সম্পদ ইত্যাদি।

 ৭)মৃত্তিকা ভূগোল (Soil Geography)মৃত্তিকা ভূগোলে আলোচিত হয় মৃত্তিকার সৃষ্টি, উপাদান, মৃত্তিকার শ্রেণীবিভাগ, মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য,মৃত্তিকার বিশ্ব বন্টন , মৃত্তিকার উর্বরা শক্তি ও উৎপন্ন ফসল 

৮)দুর্যোগ ভূগোল (Hazard Geography)-প্রাকৃতিক ভূগোলের এই শাখায় নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ যথা –ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, দাবানল, ভূমিকম্প ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। 

 

                                    অর্থনৈতিক ভূগোল    (Economic Geography)              

ভূগোলের যে শাখায় (Economic Geography) পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের মানুষের নানা ধরনের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ যথা- কৃষিকার্য, শিল্প, পশুপালন, পশুশিকার,  মাছচাষ, খনিজ পদার্থ উত্তোলন, পরিবহন, পরিষেবার কার্যকলাপ প্রভৃতি আলোচিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ভূগোল বলে। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে যে, অর্থনৈতিক  ভূগোল মানবীয় ভূগোলের একটি বিশেষ অংশ।

                                অর্থনৈতিক ভূগোলের শাখাসমূহঃ 

(ক) কৃষি ভূগোল (Agriculture Geography)

(খ) শিল্প ভূগোল (Industry Geography)

(গ) পরিবহন ভূগোল (Transport Geography)

(ঘ) পর্যটন ভূগোল (Tourism Geography)

(ঙ) বানিজ্য ভূগোল (Commercial Geography)

(চ) আঞ্চলিক ভূগোল (Regional Geography)     

(ছ) মানচিত্র ভূগোল (Cartography)

(জ) আন্তর্জাতিক ভূগোল (International Geography)

(ঝ) পদ্ধতি ভূগোলে (methodology)

(ঞ)উন্নয়ন ভূগোল (Development Geography)

                                         মানবীয় ভূগোল(Human Geography)

 ভূগোলের যে শাখায় পৃথিবীর (Human Geography) বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন কর্মধারা ও গুণাগুণের সঙ্গে ভৌগোলিক পরিবেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বিস্তার আলোচিত হয় তাকে মানবীয় ভূগোল বলে ।।ভূগোলবিদ ভিদাল -ডি-লা-ব্লাশ (Vidal De La-blache)মানবীয় ভূগোলের জনক। 

মানবীয় ভূগোলের বিভিন্ন শাখা:- (Branches of Human Geography)-মানবীয় ভূগোলের বিভিন্ন শাখাগুলি হল-(i) জনসংখ্যা ভূগোল (Population Geography)

 (ii) রাজনৈতিক ভূগোল (Political Geography)

(iii) সামাজিক ভূগোল (Social Geography)

(iv)সাংস্কৃতিক ভূগোল (Cultural Geography)

iv)বসতি ভূগোল (Settlement Geography)

মানুষের বসতি নিয়ে আলোচনা  করে। 

(v) পুষ্টি ভূগোল (Nutrition Geography)-

(vi) সংগীত ভূগোল (Music Geography)-

(vii) চিকিৎসা ভূগোল (Medical Geography)

(viii) ধর্মীয় ভূগোল (Religion Geography)

 (ix) নারী ভূগোল (woman Geography) 

(x)শিশু ভূগোল (Child geography)

,(xi)ঐতিহাসিক ভূগোলে (Historical Geography

(xii)চিন্তন ভূগোল (Thought Geography)

(xiii) কল্যান মূলক ভূগোল (Welfare Geography)

                                                জীব ভূগোল (Bio-geography)

জীব ভূগোল(Bio-geography) -ভূগোলের যে শাখায় উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে জীব ভূগোল বলে ।

জীব ভূগোলের শাখা-জীব ভূগোলকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।

(i) উদ্ভিদ ভূগোল (Plant Geography)

(ii) প্রাণী, ভূগোল (Animal Geography

(iii) পরিবেশ ভূগোল (Environmental Geography)

(iv) মানব বাস্তুসংক্রান্ত ভূগোল (Human-Ecological Geography)

                                                ভূগোলের  মাহাত্ম্য 

(ক)ভূগোল সমস্ত বিষয়ের জননী (mother of all subjects)

পৃথিবীর সমস্ত বিষয় ভূগোলের আলোচ্য বিষয়। → মানুষ ও মানুষের ক্রিয়াকলাপ, প্রাকৃতিক ঘটনা,  উপাদান  বস্তু,  সবই ভূগোলের আলোচ্য বিষয় ।বিজ্ঞানের সব শাখার সঙ্গে ভূগোলের প্রাথমিক তত্ত্বের একটি বিশেষ মিল আছে। এই সমস্ত কারণে ভূগোলকে  বিজ্ঞানের জননী  বলা হয়

খ) ভূগোল শাস্ত্র গতিশীল বিজ্ঞান’ Dynamic Science)

বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সব কিছুই পরিবর্তনশীল বা গতিশীল। কোনো কিছু স্থির অবস্থায় না থেকে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সব কিছুর আমূল পরিবর্তন ঘটছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে  মানব জীবনযাত্রার পারস্পরিক সম্পর্কের পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে ভূগোলের আলোচনার বিষয়বস্তু, গতিশীল হয়ে পড়ছে। তাই ভূগোল শাস্ত্রকে গতিশীল বিজ্ঞান বলা হয়.। 

(গ)বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভূগোল আলোচনা করে তাই ভূগোলকে world discipline  বলে। 

(ঘ) ভূগোল একটি নিয়মবদ্ধ বিজ্ঞান ( nomothetic)কারণ ভূগোলের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ও সূত্রগুলিকে মেনে করা হয়। 

ঙ)ভূগোল একটি ভাবলেখী বিজ্ঞান (ideographic) কারণ ভূগোলের ব্যাখ্যা মানুষের ধ্যান-ধারণা সামাজিক বিধি-নিষেধকে অনুসরণ করে করা হয়। 

                                           ভূগোল চর্চার সূত্রপাত 

ক) 2000 বছর পূর্বে  ভূগোল শাস্ত্রের উদ্ভব ঘটে( রবার্ট ই ডিকিনসনের  মতে)

খ)1888 সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথম ভূগোল চর্চা শুরু হয়। 

গ)1899 খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম ভূগোল বিভাগ চালু হয়। 

ঘ)1927 খ্রিস্টাব্দে ভারত তথা এশিয়ায় সর্বপ্রথম ভূগোল চর্চা শুরু হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 ঙ) 1941  খ্রিস্টাব্দে ডক্টর শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় -এর উদ্যোগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল বিভাগ চালু হয়। 

 

৫) ভূগোল শিক্ষার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য   (Aims or purpose of geography)

ভূগোল শিক্ষার নানা উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য আছে। ভূগোল বিষয় অধ্যয়ন বা অনুশীলনের মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানতে পারি । 

ক) মানসিক চেতনার উন্মেষ সাধন: ভূগোল  শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর মানসিক চেতনার উন্মেষ সাধন করা যায়।

খ)অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ ভূগোল পাঠের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে মানুষ খাপ খাইয়ে বসবাস করছে। এর থেকে শিক্ষার্থীর মনে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার গুণগুলি বিকশিত হয়।

(গ) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, দেশভ্রমণ সম্পর্কে কৌতূহলঃ– ভূগোল শিক্ষা শিক্ষার্থীর মনে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা গড়ে তোলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা শ্রবণ করে ছাত্রছাত্রীরা কল্পনা প্রবণ প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়। নতুন দেশ সম্পর্কে জানার কৌতূহল জাগে ও দেশ ভ্রমণে উৎসাহিত হয়।

(ঘ) যুক্তিবাদী ও অনুসন্ধানী মনোভাবের জন্ম: ভূগোল শিক্ষার মাধ্যমে আমরা নানা রকমের অজানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় লাভ করি। ফলে যুক্তিবাদী ও অনুসন্ধানী মনোভাবের জন্ম হয়। নানারকম  নতুন নতুন জিনিস ও বিষয় আবিষ্কারের ইচ্ছা জাগে।

  • ৬) ভূগোলের বিভিন্ন  শাখার উৎস

যে সব বিজ্ঞান বা বিষয় থেকে ভূগোলের বিভিন্ন শাখার জন্ম হয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

i)মৃত্তিকা ভূগোলের (Soil Geography)জন্ম মৃত্তিকা বিজ্ঞান  (pedology) থেকে।

 ii)সমুদ্রবিদ্যার(Oceanography) জন্ম  উদক বিদ্যা(Hydrology) থেকে। 

iii) ভূমিরূপ বিদ্যার(Geomorphology) জন্ম ভূ-তত্ত্ব Geology)থেকে। 

iv)গাণিতিক ভূগোলের(Mathematics Geography ) জন্ম গণিত শাস্ত্র(Mathematics) থেকে। 

v) জলবায়ু সংক্রান্ত ভূগোলের (Climatology) জন্ম আবহবিদ্যা (Meteorology)থেকে। 

vi)উদ্ভিদ ভূগোলের(Plant /phyto Geography) জন্ম উদ্ভিদবিদ্যা (Botany)থেকে। 

vii)প্রাণী ভূগোলের (Animal /Zoo Geography)জন্ম প্রাণিবিদ্যা (Zoology) থেকে। 

vii)জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক ভূগোলের (Astronomical Geography)জন্ম জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astrology/Cosmology) থেকে। 

 ix)পরিবেশ ভূগোলের (Environment Geography)জন্ম পরিবেশ বিজ্ঞান (Environment Science) থেকে। 

x)মানব বাস্তুসংক্রান্ত ভূগোলের(Human-ecological Geography) জন্ম বাস্তুবিদ্যা(Ecology) থেকে। xi)অর্থনৈতিক ভূগোলের (Economic Geography)জন্ম অর্থশাস্ত্র(Economics) থেকে। 

 xii)রাজনৈতিক ভূগোলের (Political Geography)জন্ম রাষ্ট্রবিজ্ঞান(Political science) থেকে। 

 xiii)ঐতিহাসিক ভূগোলের (Historical Geography) জন্ম ইতিহাস (History)থেকে। 

xiv)মাত্রিক ভূগোলের(Quantitative Geography) জন্ম গণিত ও সংখ্যাতত্ত্ব (mathematics and statistics)থেকে।

 

xv)সাংস্কৃতিক ভূগোলের( (Cultural Geography) জন্ম নৃ- বিজ্ঞান (Anthropology) থেকে। 

xvi)সামাজিক ভূগোলের (Social Geography)জন্ম সমাজতত্ত্ব (Sociology)থেকে। 

xvii)চিন্তন ভূগোলের(thought Geography) জন্ম দর্শন (Philosophy)থেকে। 

(৭)ভূগোলের বিভিন্ন শাখার  সৃষ্টিকর্তা বা জনক(Father of different geography branches)

i)ভূগোলের জনক এরাটস্থেনিস/হেকাটিয়াস (Eratosthenese/Hecatious

ii)আধুনিক ভূগোলের জনক আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট(Alexander Von Humbolt)

iii)প্রাকৃতিক ভূগোলের জনক আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট(Alexander Von Humboldt)

iv)মানবীয় ভূগোলের জনক ভিদাল ডি -লা -ব্লাশ,/ কার্ল রিটার/ফ্রেডরিক ’র‍্যাটজেল

(Vidal De Le Blache/Karl Ritter/Friedrich Ratzel)

v)ভূ-তত্ত্ব বিদ্যার জনক  ক্লোডিয়াস টলেমি (Claudious Ptolemy)

vi)ভূমিরূপ বিদ্যার জনক উইলিয়াম মরিস ডেভিস/ হাটন(W.M Davis/Hutton

vii)মানচিত্র বিদ্যার জনক এনাক্সিমেন্ডার/ টলেমি(Anaximander/ ptolemy

viii)রাজনৈতিক  ভূগোলের জনক র‍্যাটজেল (Friedrich Ratzel)

ix)প্রণালীবদ্ধ ভূগোলের জনক হামবোল্ট(Alexander Von Humboldt)

x)জীব ভূগোলের জনক ওডাম(Odum)।

xi)আঞ্চলিক ভূগোলের জনক কাল রিটার Karl Ritter/ভ্যারেনিয়াস 

xii)সমুদ্র বিদ্যার জনক পসিডোনিয়াম অথবা মুরে (Murry)

xiii)ভারতীয় ভূগোলের জনক ব্রিটিশ ভূগোলবিদ জেমস রেনেল(James  Rennel)

 xiv)আধুনিক ভারতীয় ভূগোলের জনক ডঃশিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় 

xv)জলবায়ু বিদ্যার জনক -Thornthwaite

xvi)আধুনিক জলবায়ু বিদ্যার জনক  Wladimir Koppen

                                        ১০)ভূগোল সংক্রান্ত কিছু বই বা গ্রন্থ 

i)Kosmos (কসমস )গ্রন্থের রচয়িতা  আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট

ii)Geographia(জিওগ্রাফিয়া )গ্রন্থের রচয়িতা টলেমি/এরাটোসথেনিস

iii)Geographica/Geographika(জিওগ্রাফিকা) গ্রন্থটি লিখেছেন স্ট্র্যাবো

iv)Erdkunde(এর্ডকুন্ড)  গ্রন্থটি লিখেছেন  কার্ল রিটার

v)Dictionary of Geography (ডিকশনারি অফ জিওগ্রাফি) লিখেছেন –ড্যা্ডলি স্ট্যাম্প

vi)Map of Bengal (ম্যাপ অফ বেঙ্গল) গ্রন্থটি লিখেছেন–ডঃ শিবপ্রসাদ  চট্টোপাধ্যায়

vii)সূর্যসিদ্ধান্ত  গ্রন্থের রচয়িতা আর্যভট্ট

viii) আর্যভাটিয়া গ্রন্থটি রচনা করেন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্ট

ix)Ecology (ইকোলজি) গ্রন্থটি লিখেছেন  এ জি টান্সলে

X)Gesperiodos (জেসপেরিওডস) গ্রন্থের রচয়িতা হেকাটিয়াস

xi)Anthropographie গ্রন্থের রচয়িতা ফ্রেডরিক ’র‍্যাটজেল

xii)Geography in the Twentieth Century  বইটি লিখেছেন   থমাস গ্রিফিথ টেলর

xii) The Nature of Geography গ্রন্থের রচয়িতা Richard Hartshorne

    ৮) ভূগোলের প্রকৃতি(Nature)                                                                                  

ভূগোলের প্রকৃতি বলতে বোঝায় ভূগোল বিষয়টির স্বভাব, চরিত্র ধর্ম এবং অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো

(ক)ভূগোল হলো একটি প্রকৃতি বিজ্ঞান কারণ ভূগোলের সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের  সম্পর্ক আছে।

(খ)ভূগোলকে সামাজিক বিজ্ঞান বলা হয় কারণ ভূগোলে  মানুষের আর্থসামাজিক পরিবেশের উপর বিশেষ আলোচনা করা হয় ।

(গ) ভূগোলের একটি ব্যবহারিক দিক (practical)দিক  আছে ।

ঘ) ভূগোলে নানা রকম সূত্র  আছে ।যেমন -বাইস ব্যালট সূত্র, ফেরেলের সূত্র, ষষ্ঠ  ঘাতের  সূত্র

ঙ)  ভূগোলে  ফিল্ড রিপোর্ট করা হয়। তাই একে ক্ষেত্র বিষয় বলা হয়।

চ) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞানের সমাহারে গড়ে ওঠা ভূগোল একটি সমষ্টিগত বিষয় ।

প্রতিষ্ঠানের নাম স্থাপন কালহেড অফিস 
The Geographical  Society of India1933Kolkata
National Geography Society 1888Washington 
American  Association  of Geographers1904Washington
Royal Geographical  Society 1830London

(১) ভূগোলের জনক- হেকাটিয়াস

(২) কোরোলজি শব্দটি সর্বপ্রথম প্রথম ব্যবহার করেন গ্রিক ভূগোলবিদ  স্ট্র‍্যাবো

(৩) কোরোগ্রাফি শব্দটি সর্বপ্রথম  ব্যবহার করেন টলেমি

(৪)হেরোডোটাস সর্বপ্রথম দ্রাঘিমারেখা অংকন করেন। 

(৫) Meteorology শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন অ্যারিস্টটল 

(৬) ভূগোলে space স্পেস শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন এমরিক জোন্স

(৭) পৃথিবীর মানচিত্র সর্বপ্রথম অঙ্কন করেন অ্যানাক্সিম্যান্ডার (Cartography -র  নিয়ম না মেনে)

(৮)Cartography -র  নিয়ম মেনে সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেন ক্লডিয়াস টলেমি।

(৯)পৃথিবীর পরিধি সর্বপ্রথম নির্ণয় করেন এরাটোসথেনিস।

(১০)সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাস  ও ব্যাসার্ধ  নির্ণয় করেছিলেন এরাটোসথেনিস। 

   


    

Leave a Comment