সম্পদ সম্পর্কে ধারণা, শ্রেনিবিভাগ ও    সম্পদ সংরক্ষণ    Concept of resource, classification and conservation,1st Summative,Geography,Class -9

1st Summative,Geography,Class -9

                      Concept of resource, classification and conservation

       আঞ্চলিক ভূগোল

                     সম্পদ সম্পর্কে ধারণা, শ্রেনিবিভাগ ও    সম্পদ সংরক্ষণ

                      Concept of resource, classification and conservation

(১) সম্পদ কাকে বলে? 

উত্তর-কোনো বস্তু বা পদার্থ সম্পদ নয়,ওই বস্তু বা পদার্থটির কার্যকারিতা ও উপযোগিতাই হল সম্পদ।

(২) একজন সম্পদ বিশারদের  নাম লেখ ।

উত্তর -জিমারম্যান (Zimmer Mann) হলেন একজন বিখ্যাত সম্পদ বিশারদ।

(৩) স্থায়িত্ব  অনুসারে সম্পদের শ্রেণীবিভাগ কর ।

উত্তর-স্থায়িত্ব অনুসারে সম্পদকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(ক) পুনর্ভব সম্পদ বা পুরনশীল সম্পদ।

(খ) অপুনর্ভব সম্পদ বা গচ্ছিত বা সঞ্চিত সম্পদ।

(গ) অফুরন্ত সম্পদ বা অবাধ সম্পদ।

(ক) পুর্নভৰ সম্পদঃ যে সব সম্পদ ব্যবহারের ফলে কমে গেলেও পরবর্তীকালে পুনরায় বেড়ে যায় তাদের পুণর্ভব সম্পদ বলে।যেমন-বনভূমি, মৎস্য

(খ) অপূর্নভব সম্পদঃ যে সব সম্পদের সঞ্চয় প্রকৃতিতে সীমিত এবং ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ  হয়ে যায় তাদের অপুনর্ভব সম্পদ বলে। যেমন-কয়লা, খনিজতেল, লৌহ আকরিক ইত্যাদি। 

(গ) অফুরন্ত সম্পদঃ যে সব সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না, ভবিষ্যতে নিঃশেষ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না তাদের অফুরন্ত বা অবাধ বা প্রবহমান সম্পদ বলে।

যেমন-বায়ু, জল, সূর্যরশ্মি।

(৪) সম্পদ সৃষ্টির উপাদান কি কি? 

উত্তর-সম্পদ সৃষ্টির উপাদান তিনটি। যথা-প্রকৃতি, মানুষ এবং সংস্কৃতি।

৫) উপাদান অনুসারে সম্পদকে  কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর-উপাদান অনুসারে সম্পদকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। 

যথা-(১) প্রাকৃতিক সম্পদ

 (২)মানবিক সম্পদ সম্পদ

 (৩) সাংস্কৃতিক সম্পদ।

প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অতিসহজেই প্রাপ্ত সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। 

যেমন-জল, বায়ু, সূর্যালোক, খনিজ।

মানবিক সম্পদ – যে সমস্ত মানবিক গুণাবলী সম্পদ সৃষ্টিতে সাহায্য করে মানবিক সম্পদ বলে। যেমন–কায়িক শ্রম, উদ্ভাবনী ক্ষমতা।

সাংস্কৃতিক সম্পদ-যে সব উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে মানুষ কোনো নিরপেক্ষ উপাদানকে সম্পদে পরিণত করে 

তাদের সাংস্কৃতিক সম্পদ বলে। যেমন-শিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান-চেতনা, বুদ্ধি, সহনশীলতা ।

(৬) সামাজিক সম্পদের উদাহরণ দাও ।

উত্তরসামাজিক সম্পদের উদাহরণ – বিদ্যালয়, হাসপাতাল, পাঠাগার।

(৫) আন্তর্জাতিক সম্পদের উদাহরণ দাও ।

উত্তর আন্তর্জাতিক সম্পদের উদাহরণ- বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর, আন্টার্কটিকা মহাদেশ।

(৮) জাতীয় সম্পদের  উদাহরণ দাও ।

উত্তর জাতীয় সম্পদের  উদাহরণ-বন্দর, রেলপথ, সড়কপথ।।

(৯) বস্তুগত সম্পদ কাকে বলে ?

উত্তর-যে সম্পদ স্পর্শ করা যায় তাকে বস্তুগত সম্পদ বলে । যেমন-জল, কয়লা, লৌহা।

(১০) অবস্তুগত সম্পদ  কাকে বলে?

উত্তর– যে সম্পদ স্পর্শ করা যায় না  তাকে অবস্তুগত  সম্পদ বলে । যেমন- শিক্ষা, সংস্কৃতি।।

(১১) দুষ্পাপ্য সম্পদ কাকে বলে?

উত্তর– যে সম্পদ খুব কম পাওয়া যায় তাকে  দুষ্পাপ্য সম্পদ  বলে । যেমন-টিন, নিকেল। 

(১২)  অদ্বিতীয়  সম্পদ কাকে বলে?

উত্তর-যে সম্পদ পৃথিবীর একটি মাত্র স্থানেই পাওয়া যায়  তাকে অদ্বিতীয়  সম্পদ  বলে ।

 যেমন -ক্রায়োলাইট কেবলমাত্র গ্রীনল্যান্ডেই পাওয়া যায়।

(১৩) সর্বত্র প্রাপ্ত সম্পদের উদাহরণ দাও 

উত্তর সর্বত্র প্রাপ্ত সম্পদের উদাহরণ  – সূর্যালোক, জল।

(১৪) সহজলভ্য সম্পদের উদাহরণ দাও। 

উত্তর -সহজলভ্য সম্পদের উদাহরণ -জল, বনভূমি, কৃষিজমি।

(১৫) বসুন্ধরা সম্মেলন কবে হয়?

 উত্তর-: বসুন্ধরা সম্মেলন  হয় –১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও-ডি-জেনিরো শহরে।

১৬)সম্পদ সৃষ্টির বাধা  কি কি ?

উত্তর-যুদ্ধ, প্রবল ঘূর্ণীঝড়, ধর্মীয় গোড়ামি।

(১৭) সম্পদ সংরক্ষণ কাকে বলে?

উত্তর-অযথা সম্পদ নষ্ট না করে  সুষ্ঠুভাবে ও পরিমিত ভাবে সম্পদের ব্যবহারকে সম্পদ সংরক্ষণবলে।

(১৮) শ্রেষ্ঠ সম্পদ কি?

উত্তর-জ্ঞানই হল শ্রেষ্ঠ সম্পদ।

Leave a Comment