পরিক্রমণগতি (Revolution):

  পরিক্রমণ বা বার্ষিক গতি (Revolution)

প্রশ্ন-(২)• অধিবর্ষ (Leap year) যে বছরটির সময়সীমা ৩৬৬ দিন, তাকে অধিবর্ষ বলে। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর মোট সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা। কিন্তু আমরা ক্যালেন্ডারে বছর গণনা করি ৩৬৫ হিসেবে। তাই প্রতিবছর ৬ঘণ্টা সময় বাড়তি থেকে যায়। প্রতি ৪ বছর অন্তর ৬×৪=২৪ ঘণ্টা বা ১ দিন যোগ করে ৩৬৫ দিনের বদলে ৩৬৬ দিন করা হয়। ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪ ইত্যাদি সালগুলি অধিবর্ষের উদাহরণ। ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৪ দ্বারা বিভাজ্য বছরগুলি অধিবর্ষ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে শতক বর্ষগুলি (১১০০, ১২০০, ১৩০০ ২০০০ ইত্যাদি) ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য হওয়া দরকার। ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মি. ৪৬ সেঃ এই সময়সীমার পরিবর্তে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা ধরার ফলে প্রতি বছর ১১ মিনিট ১৪ সেঃ বেশি ধরা হয়ে যায়। এই বেশি সময় পূরণ করতে ৪০০ বছর সময় লাগে।

প্রশ্ন-(৩) কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবীর মেরুরেখার অবস্থান  লিখ ।

উত্তর- কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবীর মেরুরেখার অবস্থান-পৃথিবীর কক্ষপথটি যে তলে অবস্থান করে থাকে, তাকে কক্ষতল (plane of orbit) বলে। ধ্রুবতারামুখী পৃথিবীর মেরুরেখা কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদা ৬৬°৩০’ কোণে এবং নিরক্ষরেখা কক্ষতলের সঙ্গে ২৩°৩০’ কোণে হেলে থাকে। কক্ষপথের বিভিন্ন অবস্থানে মেরুরেখা সবসময় সমান্তরাল থাকে। একারণে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ছয় মাস এবং দক্ষিণ গোলার্ধ ছয়মাস সূর্যের দিকে হেলে থাকে।

প্রশ্ন-(৪) অপসূর ও অনুসূর (Aphelion and perihelion) :কাকে বলে ?

উত্তর-অপসূর ও অনুসূর (Aphelion and perihelion)  উপবৃত্তাকার কক্ষপথের জন্যপরিক্রমণের সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান থাকে না। ৪ঠা জুলাই সূর্য  থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি। একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলে। আবার, ৩রা জানুয়ারী তারিখে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সবচেয়ে কাছে, প্রায় ১৪ কোটি ৭০লক্ষ কি.মি.। একে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান বলে। অপসূর অবস্থানে পৃথিবীর পরিক্রমণ বেগ কমে এবং  অনুসূর অবস্থানে পরিক্রমণ বেগ বাড়ে।

প্রশ্ন-(৫) •পরিক্রমণগতির প্রমাণ (proofs of Revolution):দাও।

উত্তর-পরিক্রমণগতির প্রমাণ গুলি হল

(১) নক্ষত্রদের আপাত গতি(Apparent movement of stars): রাত্রিবেলায় নক্ষত্রদের লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সেগুলি প্রত্যহ পূর্বাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশে সরে সরে উদিত হচ্ছে। একবছর পরে পুনরায় পূর্বস্থানে দেখা যায়। এর থেকে প্রমাণিত হয় পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি আছে।

(২) সূর্যের আপাতগতি (Sun’s Apparent movement): ২১শে মার্চ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে সূর্য ঠিক পূর্বদিকে উঠে এবং পশ্চিমে অস্ত যায়। বছরের বাকি দিনগুলিতে সূর্য একটু উত্তরে কিংবা দক্ষিণে সরে সরে উদিত হয় ও অস্ত যায়। সূর্যের এই আপাত বার্ষিক গতি প্রমাণ করে যে পৃথিবীর পরিক্রমণগতি আছে।

(৩) নিউটনের সূত্র (Law of Gravitation): পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড়, ও ৩২ লক্ষ গুণ ভারী। তাই নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রানুসারে সূর্যের পক্ষেই পৃথিবীকে ঘোরানো সম্ভব।

(৪) প্রত্যক্ষ প্রমাণ (Direct Proofs) : দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে সৌরজগতের অন্ন্গ্রহদের পরিক্রমণ গতি পর্যবেক্ষণ করে স্পষ্টভাবে বলা যায়, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে।

(৫) দিন-রাত্রি হ্রাসবৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তন প্রমাণ করে যে, পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি আছে।

প্রশ্ন-(৫) • বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির ফলাফল (Effects of Revolution) লিখ ।

উত্তর- বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতির ফলাফল 

পৃথিবীর পরিক্রমণগতির ফলে তিনটি ঘটনা ঘটে – 

(১) সূর্যের বার্ষিক আপাত গতি, 

(২) দিন-রাত্রি হ্রাস-বৃদ্ধি 

(৩) ঋতু পরিবর্তন।

• (১) সূর্যের বার্ষিক আপাতগতি (Apparent annual movement of the sun) :

পৃথিবীর পরিক্রমণ বা বার্ষিক গতি থাকার জন্য সূর্যের আপাত গতি লক্ষ্য করা যায়। সূর্যের আপাতবার্ষিক গতিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা (ক) উত্তরায়ণ এবং (খ) দক্ষিণায়ন। অয়ন’ শব্দের অর্থ গতি বা গমন বা যাত্রা। ২২শে ডিসেম্বরের পর থেকে ২১শে জুন পর্যন্ত সূর্যের উত্তরমুখী গমনকে উত্তরায়ন এবং ২১শে জুনের পর থেকে ২২শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্যের দক্ষিণমুখী গমনকে দক্ষিণায়ন বলে।

রবিমার্গ (Sun’s Ecliptic): সূর্যের আপাত গতি পথটি রবিমার্গ নামে পরিচিত। রবি সূর্য এবং মার্গ পথ। এটি কটক্রান্তি রেখা থেকে মকরক্রান্তি রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত।

● (২) দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি : পৃথিবীর পরিক্রমণগতির ফলে দিন রাত্রি হ্রাস বৃদ্ধি । তাছাড়া (ক) পৃথিবার আবতন (খ) পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি, (গ) উপবৃত্তাকার কপথ, (ঘ) কক্ষতলের সঙ্গে মেরুরেখার ৬৬°৩০’ কোণে অবস্থান দিন-রাত্রি হ্রাস-বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।

বিষুবদ্বয় (Equinox) : ২১শে মার্চ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখে সূর্য নিরক্ষরেখায় অবস্থান করে। এসময় পৃথিবী কক্ষের এমন অবস্থায় থাকে যে, (i) ছায়াবৃত্ত প্রতিটি সমাক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করে (ii) উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে (iii) উভয়মেৰু একইসঙ্গে সূর্যের আলো পায়। এর ফলে এই দুটি তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান (১২ ঘণ্টা দিন ও ১২ ঘণ্টা রাত)। উভয় মেরু থেকে সূর্যকে দিগন্তরেখা বরাবর লক্ষ্য করা যায়।

(i) মহাবিষুব (Vernal or spring Equinox) : ২১শে মার্চকে মহাবিষুব বা বসন্তকালীন বিষুব বলে। কারণ এসময় উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে। এবং এই তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান। (Equinox = Equal night সমান রাত্রি, এবং Vernal or spring কথার অর্থ বসন্তকাল)

জলবিষুব (Autumnal Equinox) : ২৩শে সেপ্টেম্বর তারিখকে জলবিষুব বা শরৎকালীন বিষুব বলে। কারণ এ সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে এবং পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান। (Autumnal = শরৎকালীন, Equinox = Equal night সমান রাত্রি)।

• ২১শে জুন বা উত্তর অয়নান্ত  দিবস : ২১শে মার্চের পর পৃথিবী পরিক্রমণ করতে করতে ২১শে জুন তারিখে কক্ষপথের এমন এক অবস্থায় আসে যে এ সময় – (1) উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝোকে (ii) সূর্য-রশ্মি কর্কটক্রান্তিরেখায় লম্বভাবে পড়ে, (iii) সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরু অঞ্চল ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের আলো পায় (iv) কুমেরুবৃত্তথেকে কুমেরু পর্যন্ত অঞ্চল সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে উত্তর গোলার্ধে

দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতন রাত্রি এবং

দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতন রাত্রি ও ক্ষুদ্রতম দিন দেখা যায়। ২১শে জুন তারিখে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থান করে।তাই একে কর্কটসংক্রান্তি (tropic of cancer) বলে। এই তারিখে সূর্যের উত্তরায়ণ সমাপ্ত হয়, তাই একে উত্তর উত্তর অয়নান্ত  দিবস বা গ্রীষ্মকালীন সৌরস্থিতি বলা হয়।

• ২২শে ডিসেম্বর বা দক্ষিণ অয়নান্ত দিবস : ২৩শে সেপ্টেম্বরের পর পৃথিবী পরিক্রমণ করতে করতে ২২শে ডিসেম্বরে কক্ষপথের এমন এক অবস্থায় আসে যে এসময় – (i) দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝোকে, (ii) সূর্য-রশ্মি মকরক্রান্তিরেখায় লম্বভাবে পড়ে, (iii) কুমেরুবৃত্ত থেকে কুমেরু অঞ্চল ২৪ ঘণ্টাই সূর্যের আলো পায় (iv) সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরু অঞ্চল পর্যন্ত সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত্রি এবং উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত্রি ও ক্ষুদ্রতম দিন দেখা যায়। এই তারিখে সূর্য মকর ক্রান্তিরেখায় থাকে এবং সূর্যের দক্ষিণায়ন সমাপ্ত হয়। তাই ২২শে ডিসেম্বরকে মকরসংক্রান্তি বা দক্ষিণ অয়নান্ত দিবস বা শীতকালীন সৌরস্থিতি বলা হয়।

• ব্যতিক্রম (Exception) :

নিরক্ষীয় অঞ্চলে দিন-রাত্রি হ্রাস বৃদ্ধি হয় না। কারণ সূর্য যেখানেই থাকুক না কেন সবসময় ছায়াবৃত্ত নিরক্ষরেখাকে

সমদ্বিখণ্ডিত করে। অপরদিকে উভয়মেরু অঞ্চলে ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত্রি। মেরু অঞ্চলে দিন চলাকালীন সূর্যকে ১৫ মিনিট পর পর দিগন্তরেখায় পরিভ্রমণ করতে দেখা যায়।

• নিশীথ সূর্যের দেশ (Land of midnight sun) : উত্তরমেরুতে ৬ মাস দিন চলাকালীন (২১শে মার্চ থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর) নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর (70°40’উঃ) থেকে গভীর রাত্রিতেও সূর্যকে দেখা যায়। একে নিশীথ সূর্য বলে। নরওয়েরহ্যামারফেস্ট বন্দর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।

মেরুজ্যোতি বা সুমেরু ও কুমেরু প্রভা (Aurora Borealis and Aurora Australis) : উভয়মেরুতে ৬ মাস রাত্রি থাকাকালীন আকাশে এক ধরনের মৃদু আলোকপ্রভা দেখতে পাওয়া যায়। একে উত্তরে সুমেরু প্রভা এবং দক্ষিণে কুমেরু প্রভা বলে। আয়ন মণ্ডলে তড়িতাহত অণুর চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে বায়ুকণাস্থিত ইলেকট্রনের প্রাচুৰ্য হেতু সেখানে মৃদু আলোকযুক্ত একরকম রশ্মির আবির্ভাব ঘটে।

(৩) ঋতু পরিবর্তন (Change of season) সূর্য-রশ্মির পতনকোণের তারতম্য অনুসারে পৃথিবীর নানা স্থানে উষ্ণতার পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। উষ্ণতার পার্থক্য অনুসারে বছরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যেক ভাগকে এক-একটি ঋতু (Season) বলে। যখন এক ঋতু চলে যায় এবং অন্য ঋতু আসে তখন তাকে ঋতু পরিবর্তন (Change of season) বলা হয়।

প্রশ্ন-(৭)■ ঋতু পরিবর্তনের কারণ (Causes of season change) লিখ ।

উত্তর• (ক) পৃথিবীর গোলক আকৃতি (Spherical shape of Earth) : পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির জন্য ভূপৃষ্ঠে সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি অল্প বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং অল্প স্থানে পড়ে বলে।উত্তাপ বেশি হয়। তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মি বেশি বায়ুস্তর ভেদ করে আসে এবং অনেকটা জায়গা ছড়িয়ে পড়ে বলে উত্তাপ কম হয়।

• (খ) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ (Elliptical orbit of the sun) : পৃথিবী একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এর ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান থাকে না। অপসূর ও অনুসূর অবস্থানের জন্য উষ্ণতার  তারতম্য ঘটে।

● (গ) মেরুরেখার একই দিকে অবস্থান (Location of the axis on same direction) : পৃথিবীর মেরুরেখা সর্বদা ধ্রুবতারার দিকে ৬৬°৩০’ কোণে হেলে সূর্যের নিকটবর্তী হয়। অবস্থান করে। এর ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ একবার করে সূর্যের নিকটবর্তী হয় ।

• (ঘ) পৃথিবীর বার্ষিক গতি (Earth’s Revolution) : পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য দিন রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি হয় 

এবং উষ্ণতার তারতম্য দেখা যায় 

প্রশ্ন-ঋতুচক্র (Circle of season) কাকে বলে?

উত্তর-ঋতুচক্র (Circle of season)পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্ম, শরৎ, শীত ও বসন্ত চারটি ঋতুর পর্যায়ক্রমে যাওয়া-

আসাকে ঋতুচক্র বলে।

• ২১শে মার্চ -এই তারিখে সূর্য নিরক্ষরেখায় অবস্থান করায় পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান। ২১শে মার্চের দেড় মাস আগের থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত ভূ-পৃষ্ঠে উত্তাপের পরিমাণ মধ্যম রকমের থাকে। এসময় উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল।

• ২৩শে সেপ্টেম্বর- এই তারিখে সূর্য নিরক্ষরেখায় অবস্থান করে। এই তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান। ২৩শে সেপ্টেম্বরের দেড়মাস আগের থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত ভূ-পৃষ্ঠে উত্তাপের পরিমাণ মধ্যম রকমের থাকে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল। 

২১ শে জুন –এই তারিখে সূর্য কর্কটক্রান্তিরেখায় অবস্থান করায় এই তারিখের দেড়মাস আগের থেকে দেড় মাস পর পর্যন্তউত্তর গোলার্ধে উত্তাপের পরিমাণ বেশি এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তাপের পরিমাণ কম। তাইএসময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল।

• ২২শে ডিসেম্বর – এই তারিখে সূর্য মকরক্রান্তি রেখায় অবস্থান করায় এর দেড়মাস আগের থেকে দেড়মাস পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে উত্তাপের পরিমাণ কম এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বেশী। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শীতকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।

• ব্যতিক্রম (Exception) : নিরক্ষীয় অঞ্চলে ও উভয় মেরু অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন হয় না। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর আর্দ্র গ্রীষ্মঋতু এবং মেরু অঞ্চলে শীত ঋতু বিরাজ করে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর দিনরাত্রি সমান। এই কারণে এই অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন হয় না। অপরদিকে উভয় মেরু অঞ্চলে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত হয়। এই কারণে মেরু অঞ্চলে সারাবছর শীতকাল থাকে। তবে কখনও কম, আবার কখনও বেশি।

Leave a Comment